Air India Crash: ০৮:০৮:৪২ UTC-তে ১৮০ নট গতি (IAS) ছুঁয়েছিল বিমানটি। ঠিক সেই সময় ইঞ্জিন-১ ও ইঞ্জিন-২-এর ফুয়েল কাট-অফ সুইচ এক সেকেন্ডের ব্যবধানে RUN থেকে CUTOFF হয়ে যায়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'তুমি ইঞ্জিন বন্ধ করলে কেন?' এক পাইলটের প্রশ্ন। আরেক পাইলটের উত্তর, 'না, আমি ইঞ্জিন বন্ধ করিনি।'
দুই পাইলটের এই কথোপকথন সামনে আসতেই নয়া মাত্রা পেয়েছে আমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা। এই কথোপকথনকে তুলে ধরে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল দাবি করেছে, আমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার জন্য দায়ি অভিশপ্ত উড়ানের পাইলট-ই।
যে দাবি সমূলে খারিজ করে দিয়েছে আমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার তদন্তকারী সংস্থা AAIB। এয়ারক্রাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (AAIB) স্পষ্ট জানিয়েছে, ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের দাবি অপ্রমাণিত।
পাইলটের কারণেই বিমান দুর্ঘটনা, এরকম কিছুই এখনও প্রমাণিত নয়। AAIB আরও বলেছে, ১২ জুন এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান AI 171 ভেঙে পড়ার কারণ সম্পর্কে এখনই কোনও সিদ্ধান্তে আসা বড্ড বেশি তাড়াহুড়ো করা হয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ড্রিম লাইনার ভেঙে পড়া ও ২৪১ জন যাত্রী সহ মোট ২৭৫ জনের মৃত্যুর ঘটনায় এক মাসের মাথায় গত ১২ জুলাই প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করেছে AAIB।
যেখানে বলা হয়েছে, ০৮:০৮:৪২ UTC-তে ১৮০ নট গতি (IAS) ছুঁয়েছিল বিমানটি। ঠিক সেই সময় ইঞ্জিন-১ ও ইঞ্জিন-২-এর ফুয়েল কাট-অফ সুইচ এক সেকেন্ডের ব্যবধানে RUN থেকে CUTOFF হয়ে যায়। যার জেরে দুই ইঞ্জিনের শক্তি হ্রাস পেতে শুরু করে।
এরপর ০৮:০৮:৫২ UTC-তে দুই ইঞ্জিনের ফুয়েল সুইচ ফের RUN অবস্থায় নিয়ে আসা হয়। ইঞ্জিন-১ সফলভাবে পুনরায় চালু হয়। ইঞ্জিন-২ চালু হলেও তার থ্রাস্ট বা গতি নিয়ন্ত্রণ স্থিতিশীল থাকেনি।
প্রসঙ্গত এখন চূড়ান্ত রিপোর্ট আসা বাকি। অভিশপ্ত উড়ানের APU এবং বাম পাখা থেকে সংগৃহীত সীমিত পরিমাণ জ্বালানির নমুনা এখনও পরীক্ষাধীন। ক্রু ও যাত্রীদের ময়নাতদন্তের রিপোর্টও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।