Air India Crash: অভিশপ্ত এয়ার ইন্ডিয়া উড়ানের ইঞ্জিন-১ ও ইঞ্জিন-২-এর ফুয়েল কাট-অফ সুইচ এক সেকেন্ডের ব্যবধানে RUN থেকে CUTOFF হয়ে যায়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় এবার নয়া বিতর্ক। “তুমি ইঞ্জিন বন্ধ করলে কেন?” জবাবে অপর পাইলট জানিয়েছিলেন, তিনি ইঞ্জিন বন্ধ করেননি।
এয়ার ইন্ডিয়ার AI 171 দুর্ঘটনায় এয়ারক্রাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (AAIB)-র প্রাথমিক রিপোর্টে উল্লেখ ছিল, ককপিট ভয়েস রেকর্ডারে প্রাপ্ত এই কথোপকথনের।
আর তারপরই উসকে উঠেছে নয়া বিতর্ক। ককপিটে ক্যামেরা নেই কেন? এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে জ্বালানি-সুইচ সংক্রান্ত রিপোর্টের কারণে ফের ককপিট ভিডিয়ো রেকর্ডারের দাবি উঠেছে।
কেন কেবল অডিয়োর উপর নির্ভর করা হচ্ছে? যখন গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলির সঠিক উত্তর ও বিশ্লেষণ ভিডিয়ো দিতে পারে! এমনটা মত সাধারণ মানুষেরও। আর আমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার পর তা আরও একবার প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন বিমান দুর্ঘটনার তদন্তকারী সংস্থা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের NTSB বছরের পর বছর ধরে এই ককপিট ভিডিয়ো রেকর্ডারের জন্য লড়াই করে আসছে। প্রায় ২৫ বছর আগেই তারা ককপিট ভিডিয়ো রেকর্ডারের দাবি তোলেন।
তাদের স্পষ্ট কথা, যদি ককপিট ভয়েস রেকর্ডারগুলি বিমানের ব্ল্যাক বক্সের অংশ হয়, তাহলে বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে সহায়তা করার জন্য ককপিট ভিডিয়ো রেকর্ডার কেন ইনস্টল করা হয়নি? ঠিক যেমন গাড়িতে ট্র্যাকিং ক্যামেরা থাকে!
কিন্তু ককপিট ভিডিয়ো রেকর্ডারের ক্ষেত্রে আবার উঠে এসেছে, গোপনীয়তার প্রশ্ন। পাইলট ইউনিয়নগুলি গোপনীয়তা এবং কর্মক্ষমতা সংক্রান্ত উদ্বেগের কারণে ক্যামেরার বিরোধিতা করে এসেছে। তাঁদের যুক্তি, ককপিট থেকে তোলা ফুটেজ গোপনীয়তা লংঘন করবে।
নজরদারি চালাতে পারে বিমান সংস্থাগুলিও। পাশাপাশি, দুর্ঘটনার মুহূর্তে ভিডিয়ো ফাঁস হয়ে গেলে তা দুর্গতদের পরিবারের মনে গভীর ট্রমার সৃষ্টি করতে পারে। তবে সুরক্ষা আগে, গোপনীয়তা বড়, সেই প্রশ্নও উঠছে।
যদিও চিনের COMAC C919-এ খুব শিগগিরই ককপিট ভিডিয়ো সিস্টেম থাকতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। ওদিকে ককপিট ক্যামেরার বিরোধিতা মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের থেকে এসেছে। কারণ সেখানে উড়ান শিল্পের বিশালতার জন্য পাইলটের সংখ্যাও অনেক বেশি। ফলে তারা প্রভাবশালী বেশি।