>Plane Crash and a Pilot's duty: ফ্লাইট ভেঙে পড়বে বুঝতে পেরেও কিন্তু পাইলট তাঁর চালকের আসন থেকে উঠে যেতে পারেন না! বরং কয়েক...
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা আমাদের পরিচয় করিয়েছে 'উড়ান অভিধান'-এর বিভিন্ন শব্দের সঙ্গে। জানা গিয়েছে, টেক অফের পরই বিপদ আঁচ করতে পেরে AI 171-এর পাইলট সুমিত সবরওয়াল এটিসিকে বার্তা পাঠান 'MAYDAY!MAYDAY!MAYDAY!'যার মানে বোঝায়, ফ্লাইটটি বিপদে আছে। এটি একটি 'ডিসট্রেস' কল! এই 'MAYDAY' ছাড়াও আরও একটি বার্তা পাঠিয়ে থাকেন পাইলট।
সেটি হল PAN-PAN-PAN সিগন্যাল। MAYDAY-এর মতোই একইপদ্ধতিতে এই PAN সিগন্যাল পাঠানো হয়ে থাকে ৩ বার। আপৎকালীন অবস্থা (urgency condition) বোঝাতেই এই PAN-PAN-PAN সিগন্যাল পাঠিয়ে থাকেন পাইলট। এখন ফ্লাইট ভেঙে পড়বে বুঝতে পেরেও কিন্তু পাইলট তাঁর চালকের আসন থেকে উঠে যেতে পারেন না! বরং সেই শেষ সময়েও তাঁকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে হয় কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই।
১) শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বিমানটিকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে যেতে হয়। বিমান পড়ে যেতে থাকলেও, পাইলটকে কনট্রোল স্টিক ধরে থাকতে হয়।
২) ক্ষয়ক্ষতি, প্রাণহানি 'মিনিমালাইজ' মানে যতটা কম করা সম্ভব, সেই জন্য কোনও ফাঁকা মাঠ, খোলা জায়গা বা জলাভূমির দিকে বিমানটিকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে যেতে হয়। দ্রুত চোখে খুঁজে নিতে হয় অপেক্ষাকৃত ফাঁকা জায়গা। যা করেছিলেন AI 171-র পাইলট ক্যাপ্টেন সুমিত সাভারওয়ালও।
৪) এরপর ক্যাপ্টেনকে দিতে হয় 'ব্রেস কম্যান্ড'। কী এই 'ব্রেস কম্যান্ড'? জোরালো অভিঘাতের জন্য প্রস্তুত হওয়ার বার্তা। যে বার্তা পাইলট দিয়ে থাকেন কেবিন ক্রু ও যাত্রীদের।
৫) পাইলট বা কারোরই সিট থেকে ওঠার অনুমতি থাকে না। বরং যতটা সম্ভব শান্ত থেকে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করে যেতে হয়।
৬) আর বিমান ভেঙে পড়া বা ধাক্কা লাগার সঙ্গে সঙ্গে পাইলটকে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করতে হয়, যাতে বিস্ফোরণে আগুন ধরে যাওয়ার ঝুঁকি কমানো যায়। আর তারপর সঙ্গে সঙ্গে শুরু করতে হয় যাত্রীদের উদ্ধারকাজ, ভেঙে পড়া বিমানকে খালি করা।