Ahmedabad Plane Crash: পাইলট জ্বালানি ফের চালু করা হলেও বিমান আর থ্রাস্ট পায়নি। বিমানটি ভেঙে পড়ে এবং মারা যান ২৬০ যাত্রী
আমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় ককপিট ভয়েস রেকর্ডার থেকে জানা গিয়েছে এক পাইলট অন্য জনকে বলছেন, ইঞ্জিন বন্ধ করলেন কেন? অন্যজন বলছেন, তিনি ইঞ্জিন বন্ধ করেননি। দুই পাইলটের ওই কথোপোকথনই এখন বড় হয়ে দেখা দিচ্ছে। কোনও কোনও মহল থেকে বলার চেষ্টা হচ্ছে পাইলট জ্বালানি সাপ্লাই বন্ধ না করলে তা বন্ধ হওয়ার কথা নয়। এখানেই গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে মার্কিন দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
উল্লেখ্য়, গত ১২ জুন আমদাবাদ বিমানবন্দর থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার ১৭১ ইংল্যান্ড গামী বিমান ওড়ার পরপরই সেটাই জ্বালানি প্যানেলের স্যুইচ RUN CUTOFFহয়ে যায়। প্রশ্ন তোলা হচ্ছে তাহলে কি কোনও এক পাইলটই জ্বালানি সাপ্লাই বন্ধ করে দিয়েছিলেন? ওই ঘটনার পর পাইলট জ্বালানি ফের চালু করা হলেও বিমান আর থ্রাস্ট পায়নি। বিমানটি ভেঙে পড়ে এবং মারা যান ২৬০ যাত্রী।
মার্কিন দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বিমানটির দুর্ঘটনার জন্য সিনিয়র পাইলটের দিকেই আঙুল তোলা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে মার্কিন তদন্তকারীদের সূত্র উল্লেখ করে বলা হয়েছে ক্যাপ্টেন সুমিত সবরওয়াল বিমানটি ওড়ার কয়েক মূহুর্ত পরই জ্বালানি CUTOFF করে দেন।
মার্কিন দৈনিকের দাবি, ককপিট ভয়েস রেকর্ডার থেকে স্পষ্ট যে বিমানের অন্য পাইলট কেভিন কুন্দর ওই জ্বালানি বন্ধ করে দেওয়ার ব্যাপাকে সুমিত সবরওয়ালকে প্রশ্ন করছেন। অভিজ্ঞ পাইলট সুমিত সবরওয়ালের ১৫৬০০ ঘণ্টা ওড়ার অভিজ্ঞতা ছিল। অন্যদিকে কুন্দর উড়িয়েছিলেন মোট ৩৪০০ ঘণ্টা। সেই সুমিতের দিকেই আঙুল তোলা হয়েছে। তবে সুমিত অবশ্য বলেছিলেন তিনি জ্বালানি বন্ধ করেননি।
বিমান ধ্বংসের প্রাথমিক তদন্তে ফুয়েল সুইচডের গোলমালের কথা বলা হয়েছিল। তবে তদন্তে বেরিয়ে এয়েছে ধ্বংসস্তূপ থেকে যে ককপিট কনসোল উদ্ধরা করা হয়েছে সেখানে ফুয়েল ছিল RUN পজিশনে।
এয়ার ইন্ডিয়ার সিইও ক্যাম্পবেল উইলসন জানিয়ে গিয়েছেন, কোনও টেকনিক্যাল গোলমালে বা রক্ষাণবেক্ষণের অভাবে বিমান দুর্ঘটনা ঘটেনি। আবার প্রাথমিক তদন্তে বিমানে কোনও ত্রুটির কথাও উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের ইঙ্গিত এখন ক্যাপ্টেন সুমিত সবরওয়ালের দিকেই