Ahmedabad Plane Crash: বিমানের ককপিট ভয়েস রেকর্ডার থেকে জানা যাচ্ছে এক পাইলট অন্যজনকে বলছেন, তুমি ইঞ্জিন বন্ধ করলে কেন? অন্য পাইলটের কাছ থেকে জবাব আসে, আমি ইঞ্জিন বন্ধ করিনি
গত ১২ জুন আমদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড়ানের পরপরই ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ১৭১ ড্রিমলাইনার। সেই দুর্ঘটনার প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে Aircraft Accident Investigation Bureau (AAIB)।
ওই রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে বিমানটি ০৮:০৮:৪২ UTC-তে ১৮০ নট গতি (IAS) ছুঁয়েছিল। ঠিক সেইসময় ইঞ্জিন-১ ও ইঞ্জিন-২-এর ফুয়েল কাট-অফ সুইচ এক সেকেন্ডের মধ্যে RUN থেকে CUTOFF হয়ে যায়। এর জেরেই দুই ইঞ্জিনের শক্তি হ্রাস পেতে শুরু করে। হঠাত্ করে কীভাবে ফুয়েল রান থেকে কাটঅফ হয়ে গেল তা নিয়েই এখন তোলপাড় দেশ। ম্যানুয়ালি না করলে কীভাবে জ্বালনি স্যুইচড বন্ধ হয়ে গেল তা নিয়েই এখন প্রশ্ন। এখানেই বড় তথ্য উঠে এসেছে।
বিমানের ককপিট ভয়েস রেকর্ডার থেকে জানা যাচ্ছে এক পাইলট অন্যজনকে বলছেন, তুমি ইঞ্জিন বন্ধ করলে কেন? অন্য পাইলটের কাছ থেকে জবাব আসে, আমি ইঞ্জিন বন্ধ করিনি। এখানেই গুরুতর প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে।
সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, এয়ার ইন্ডিয়া ওই অভিশপ্ত বিমানের ফুয়েল কন্ট্রোল স্যুইচ যে ককপিট মডিউলে থাকে সেটি ২ বার বদল করেছিল। ২০১৯ সালে এমনটাই নির্দেশিকা ছিল বোয়িংয়ের তরফে। এমনটাই জানিয়েছে সংবাদসংস্থা পিটিআই।
জানা যাচ্ছে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার ওই বিমানের থ্রটেল কন্ট্রোল মডিউল(TCM) প্রথমবার বদল করা হয়েছিল ২০১৯ সালে এবং দ্বিতীয়বার তা বদল করা হয় ২০২৩ সালে। কারণ বোয়িংয়ের নিয়ম অনুযায়ী ২৪,০০০ ঘণ্টা ওড়ার পর ওই কন্ট্রোল মডিউল বদল করা হয়। এই TCM-এই থাকে জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ করার স্যুইচ।
AAIB তার তদন্ত রিপোর্টেও ওই স্যুইচ বদলের কথা জানিয়েছে। পাশাপাশি তারা বলেছে এর সঙ্গে ফুয়েল স্যুইচের সঙ্গে সমস্যার কোনও যোগসাজস নেই।