Amavasya Tithi: আমরা সাধারণত তিনটে অমাবস্যার গুরুত্ব সম্পর্কে জানি। কিন্তু এছাড়াও আরও কিছু অমাবস্যা আছে যা আমাদের কাছে অনেকটাই অচেনা। সেগুলো কী কী জানতে চোখ রাখুন...
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আশ্বিন মাসে এই পুজো হয়ে থাকে। এইদিন পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ, পিণ্ডদান করতে হবে। এইদিন থেকেই দেবীপক্ষের সূচনা হয়।
কার্তিক মাসে এই পুজো হয়ে থাকে। এই রাতে মা কালী ও লক্ষ্মীর পূজা হয়। বিশেষত এইদিন মা তারাকে লক্ষ্মীরূপে পুজো করা হয়। তন্ত্রসাধনার জন্য সবচেয়ে শক্তিশালী অমাবস্যা।
মাঘ মাসে এই পুজো হয়ে থাকে। গঙ্গা বা পবিত্র কোনও নদীতে স্নান করে এইদিন কালী পুজো করা হয়। এইদিন প্রয়াগে বা গঙ্গাসাগরেও মকরস্নান হয়। এটি সাধু-সন্ন্যাসীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তিথি।
জ্যৈষ্ঠ মাসে এই পুজো হয়ে থাকে। মা কালী ও মা দুর্গার ব্রত হয় এদিন এবং এটা বিশেষ করে নারীব্রতের দিন। এদিন কামনা-বাসনা সংযম করে, ফলাহার করে উপবাস পালন করা হয়। এদিন শুদ্ধতা, ত্যাগ ও আত্মশুদ্ধির ব্রত করা হয়।
ভাদ্র মাসে এই পুজো হয়ে থাকে। এই দিনে অনেক জায়গায় গৃহদেবতার পূজা হয়। এদিন কৃষিজীবীদের জন্য শুভ, কারণ এটি নতুন ধানের প্রস্তুতির সময়। তাই এই অমাবস্যাকে অনেকেই কর্ষণ অমাবস্যা বলে।
আষাঢ় মাসে এই পুজো হয়ে থাকে। আষাঢ়ী অমাবস্যায় পূর্বপুরুষদের স্মরণ করে শ্রাদ্ধ করা হয়। এটি একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দিন।
এটা মাসের যেকোনও সময় হতে পারে। যখন অমাবস্যার দিনে সূর্যগ্রহণ হয়, তখন সেটি খুবই শক্তিশালী তিথি হয়ে ওঠে। এটা সাধক ও তান্ত্রিকদের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ সময়। (Disclaimer: প্রচলিত ধর্মীয় রীতি, শাস্ত্র বা তত্ত্বের ভিত্তিতে এই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এটি মানা বা না মানার সুপারিশ করা হচ্ছে না। বিশ্বাস ব্যক্তিগত বিষয়। সচেতন পাঠক যা করবেন স্বদায়িত্বে। আমাদের সম্পাদকীয় দফতরের কোনও দায়বদ্ধতা নেই।)