Mystery: অম্বুবাচীর সময়ে এই পৃথিবী ঋতুমতী হন বলে মনে করা হয়। এ এক রহস্য। পৃথিবীর এই ঋতুমতী হয়ে...
অম্বুবাচী এক আশ্চর্য রিচ্যুয়াল। সাধারণ স্বামীহারা মহিলাদের অম্বুবাচী পালন করতে দেখা যায়। এ সময়ে তাঁরা বহু নিয়ম-কানুন মানেন।
মনে করা হয়, অম্বুবাচীতে এই ধরিত্রী ঋতুমতী হন। কী হয়? সূর্য আর্দ্রা নক্ষত্রে এলে বর্ষাকাল শুরু। বর্ষাজলে সিক্ত হয়ে ধরিত্রীমাতা উর্বরা হয়ে ওঠেন। বর্ষায় ধরিত্রীমাতার এই সিক্ত হয়ে ওঠাটাকে তাঁর ঋতুমতী হওয়ার সঙ্গে তুলনা করা হয়। অম্বুবাচী শব্দের অর্থ জলবৃদ্ধি।
অম্বুবাচীর একটি প্রবৃত্তি একটি নিবৃত্তি হয়। প্রবৃত্তি মানে, শুরু, নিবৃত্তি মানে শেষ। পৃথিবীর এই ঋতুমতীদশা তিন দিন ধরে পালন করা হয়।
অম্বুবাচীর তিন দিন বন্ধ থাকে সব ধরনের মাঙ্গলিক কাজ শুভ কাজ, যেমন বিয়ে, উপনয়ন, অন্নপ্রাশন, গৃহপ্রবেশ ইত্যাদি। কৃষিকাজ সংক্রান্ত কোনও কাজও এই সময় করা হয় না।
সতীপীঠের অন্যতম দেবী কামাখ্যা মন্দিরে এই তিথিতে বিশেষ উৎসব পালন করা হয়। কামাখ্যা যোনীপীঠ। মিথ, সেখানে দেবীর প্রস্তরযোনি আছে, তা থেকে নাকি রক্ত নিঃসৃত হয়! আশ্চর্য!
আগামী ২২ জুন, ৭ আষাঢ়, রবিবার অম্বুবাচী প্রবৃত্তি তথা অম্বুবাচী শুরু। দুপুর ২টো ৫৬ মিনিট ৩ সেকেন্ড। আর অম্বুবাচী নিবৃত্তি তথা শেষ হবে ১০ আষাঢ়, বুধবার ২৫ জুন, রাত ৩টে ১৯ মিনিট ১৭ সেকেন্ড গতে। অনেকে সেই হিসেবে নিবৃত্তি-দিন ২৬ জুন ধরছে।
উর্বরতার প্রতীক এই শাক্ত পার্বণ উপলক্ষে ২২ থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে কামাখ্যা মন্দিরের গর্ভগৃহ। তবে, এখানে অম্বুবাচী মেলা হয়। বহু লোকসমাগম হয়। তা ছাড়া এমনিতেই কামাখ্যায় তান্ত্রিক আচার-অনুষ্ঠান হয়। সারা বছর ধরেই প্রচুর সাধু-সন্ন্যাসী সেখানে যান। পালন করেন নানা নিয়ম।