জিও ওয়ার্ল্ড ড্রাইভ মলে বিশ্বের অনেক নামজাদা ব্র্যান্ডের রিটেইল স্টোর রয়েছে। পথ চলতি মানুষকে আকৃষ্ট করতে, অ্যাপল তাদের চেনা-পরিচিত মেজাজে বার্তা দিচ্ছে – হ্যালো মুম্বই। শুধু কি তাই? স্টোর খোলার পর ভারতীয়রা অ্যাপল বিকেসি ওয়ালপেপার এবং বিশেষভাবে তৈরি প্লেলিস্ট অ্যাপল মিউজিক থেকে ডাউনলোড করা যাবে।
অবশেষে অ্যাপল ভারতে খুলল তার প্রথম স্টোর। আর সেই স্টোরে ক্রেতাদের স্বাগত জানালেন খোদ সংস্থার সিইও টিম কুক। মুম্বইয়ের বান্দ্রা-কুরলা কমপ্লেক্সে খুলল এই ফিজিক্য়াল স্টোর।
এতদিন এদেশে নিজস্ব কোনও দোকান ছিল না বিশ্বের অগ্রণী প্রযুক্তি উদ্বাভাবনী সংস্থার। ভারতের বাজারে তাদের বিভিন্ন প্রোডাক্টের চাহিদা দেখে অনলাইন স্টোর খুলল অ্যাপল।
ভারতে আইফোনের বিক্রি রেকর্ড ছুঁয়েছে। পাশাপাশি ভারত থেকে আইফোনের রফতানি থেকে বিলিয়ন ডলার আয় করছে অ্য়াপল। শুধু বম্বে নয় দিল্লিতেও খুলতে চলেছে অ্যাপলের দ্বিতীয় স্টোর।
গ্রাহকদের জন্য স্টোর খোলার আগে ২০,০০০ বর্গফুট এলাকা জুড়ে অবস্থিত এই দোকানে একটি মিডিয়া প্রিভিউ হয়। আগামী ২০ এপ্রিল নয়া দিল্লির সাকেতে একই ধরনের সুবিধা যুক্ত স্টোর খুলছে। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও দেখা করবেন কুক।
অ্যাপলের এই স্টোর তাক লাগানোর মতো সুন্দর। হাতে তৈরি ত্রিভুজাকার কাঠের ছাদ যা কাচের সামনের অংশ ছাড়িয়ে বাইরের ছাউনির নীচে পর্যন্ত প্রসারিত। অ্যাপলের মতে, প্রতিটি টাইল ৪০৮ টি কাঠের টুকরা থেকে তৈরি করা হয়েছে, প্রতি টাইলে ৩১ টি মডিউল তৈরি করে মোট ১০০০ টি টাইল দিয়ে সিলিং তৈরি।
মুম্বাইয়ের স্টোরে ১০০ জনের একটি টিম কাজ করে। যারা প্রায় ২০টি ভাষায় কথা বলে। ক্রেতাদের স্বাগত জানানো হয় গাছের সারিবদ্ধ বসার জায়গা এবং ১৪ মিটার লম্বা স্টেইনলেস স্টিলের সিঁড়ি দ্বারা যা গ্রাউন্ড এবং ক্যান্টিলেভার্ড মেজানাইনের কাছে গিয়ে শেষ হয়েছে।
স্টোরের ভেতরের দেওয়ালের জন্য কোম্পানি বিশেষভাবে রাজস্থান থেকে পাথর আনিয়েছে এবং ৪.৫ লক্ষ কাঠের টুকরো দেওয়ালকে সজ্জিত করেছে। দুনিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ফোন তৈরির কোম্পানি ২০২০ সালে ভারতে তাদের অনলাইন স্টোর খুলে দিয়েছে। তবে অফলাইন এই প্রথম।