Science Focus: এই পৃথিবীতে জানার কোনও শেষ নেই। কিছু ঘটনার ব্যাখ্যায় পরতে পরতে বিষ্ময়। জানতে চাইলে চোখ রাখতে হবে...
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: থোড় বড়ি খাড়া জীবনে চটপটা আনতে একটু তো পরীক্ষা নিরীক্ষা করা যেতেই পারে। যদি আপনি আপনার বন্ধুবান্ধব, বাচ্চাদের এবং পরিবারকে মজার মজার তথ্য দিয়ে কিংবা অসাধারণ কিছু ট্রিভিয়া দিয়ে মুগ্ধ করতে চান, তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন।
জানেন কী মেঘ কেন ভেসে থাকে! একটি মেঘের ওজন প্রায় দশ লক্ষ টন এবং আয়তন প্রায় ১ কিউবিক কিলোমিটার এবং ঘনত্ব প্রতি বর্গমিটারে প্রায় ১.০০৩ কেজি - অর্থাৎ ঘনত্ব তার চারপাশের বাতাসের তুলনায় প্রায় ০.৪ শতাংশ কম। এভাবেই মেঘ ভেসে থাকতে সক্ষম।
জানেন কী মানুযের তুলনায় জিরাফের মাথায় পাজ পড়ার সম্ভাবনা প্রায় ৩০ গুণ বেশি! কিন্তু ১৯৯৬ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে জিরাফের উপর পাঁচটি মারাত্মকভাবে বজ্রপাত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। তৎকালীন সময়ে গণনা করলে দেখা যায় জিরাফের সংখ্যা ১,৪০,০০০। প্রতি বছর প্রতি হাজার জিরাফের মধ্যে প্রায় ০.০০৩ জন বজ্রপাতে মারা যায়। এটি মানুষের মৃত্যুর সমতুল্য হারের ৩০ গুণ।
জানেন কী যমজ সন্তানের আঙুলের ছাপ একই রকম হয় না! কেন আলেদে হয় জানেন? গর্ভে থাকাকালীন সময়ে নাভির দৈর্ঘ্য, গর্ভে তার অবস্থানের উপর নির্ভর করে তার বেড়ে ওঠা। এই কারণেই যমজ সন্তানের আঙুলের ছাপ কখনও এক হয় না।
আসলে ধীর হয়ে যাচ্ছে পৃথিবীর ঘূর্ণনের গতি। এর অর্থ হল, প্রতি শতাব্দীতে গড়ে একটি দিনের দৈর্ঘ্য প্রায় ১.৮ সেকেন্ড করে বৃদ্ধি পেত। এমন করেই ৬০ কোটি বছর আগে একটি দিনের দৈর্ঘ্য ছিল মাত্র ২১ ঘন্টা।
আবিষ্কৃত জীবাশ্ম থেকে দেখা গেছে, ডাইনোসরের মলের সবচেয়ে বড় টুকরোটি ৩০ সেন্টিমিটারেরও বেশি লম্বা এবং দুই লিটারেরও বেশি আয়তনের। এই গবেষনা থেকে বিজ্ঞানীরা ধারণা করতে পেরেছে ডাইনোসর সেই যুগে কী কী খেত।
মহাবিশ্বের গড় রঙকে 'কসমিক ল্যাটে' বলা হয় । ২০০২ সালের এক গবেষণায়, জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, ছায়াপথ থেকে আসা আলো গড়ে সাদা রঙের মতো বেইজ রঙ সৃষ্টি করে।
একসময় একটি মুরগি মাথা ছাড়াই ১৮ মাস বেঁচে ছিল। ১৯৪০-এর দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই ঘটনাটি রেকর্ড করা হয়েছিল। তার ঘাড়ের শিরা এবং মস্তিষ্কের বেশিরভাগ অংশ অক্ষত থাকায় সে বেঁচে গিয়েছিল। যদিও মাথাবিহীন মুরগি মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই মারা যায়।
জানেন কী টাই পড়লে মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ ৭.৫ শতাংশ কমে যেতে পারে! ২০১৮ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে যে নেকটাই পড়লে মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ ৭.৫ শতাংশ কমে যেতে পারে, যার ফলে মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব হতে পারে। খুব বেশি টাইট করে টাই পড়লে চোখের উপর চাপও পড়তে পারে।
বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক কুকুরটি ২৯.৫ বছর পর্যন্ত বেঁচে ছিল। যদিও একটি কুকুরের গড় বয়স প্রায় ১০-১৫ বছর , এই অস্ট্রেলিয়ান কুকুরটির নাম 'ব্লুই'।
বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক বিড়ালটি ৩৮ বছর তিন দিন বেঁচে ছিল। বাড়ালচির মাম ক্রিম পাফ, সে ছিল সর্বকালের সবচেয়ে বয়স্ক বিড়াল।