Baba Vanga's Predictions: বুলগেরিয়ার বাবা ভাঙ্গা। ভাইরাল তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী। জন্মান্ধ তিনি ছিলেন না। দৃষ্টি হারান এক দুর্ঘটনায়। কিন্তু তারপর থেকেই ভবিষ্যতের ঘটনাপ্রবাহ দেখার এক ঐশ্বরিক শক্তির অধিকারী হন তিনি। এমনটাই বিশ্বাস...
৯/১১ সন্ত্রাসী হামলা, ব্রেক্সিট বা সুনামির ধ্বংসযজ্ঞ, সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন, চেরনোবিল দুর্ঘটনা, বারাক ওবামার বুলগেরিয়ার বিখ্যাত বাবা ভাঙ্গা, যাঁর কথা পরতে পরতে মিলে গিয়েছে।
২০২৫ সালের জন্যও অনেক ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। যার মধ্যে কিছু ভীতিকর এবং কিছু স্বস্তিদায়ক। বাবা ভাঙ্গা দাবি করেছেন যে ২০২৫ সালের মধ্যে ক্যান্সারের নিরাময় পাওয়া যাবে। বিজ্ঞানীরা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত সাফল্য অর্জন করতে পারবেন।
২০২৫ সাল সম্পর্কে আরও একটি ভয়াবহ ভবিষ্যদ্বাণীও করেছেন। তিনি বলেছেন, ২০২৫ সালে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হবে, যার সর্বাধিক প্রভাব ইউরোপীয় দেশগুলিতে দেখা যাবে। রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা দেখে বাবা ভাঙ্গার কথা সত্য প্রমাণিত হচ্ছে।
বাবা ভাঙ্গ ২০২৫ সালের জন্য আরও অনেক ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, যেমন এই বছরটি অর্থনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল হতে পারে। রাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পাবে, বাণিজ্য নিয়ে বড় দেশগুলির মধ্যে যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে, যা অর্থনীতির উপর খারাপ প্রভাব ফেলবে।
তাঁর দাবি, ২০২৫ সালে মানবতার পতন শুরু হবে এবং ৫০৭৯ সালের মধ্যে পৃথিবী শেষ হয়ে যাবে।এই সময়ের মধ্যে, বিশ্বের অনেক প্রধান অর্থনীতি পুঁজিবাদ থেকে দূরে সরে যাবে। সমাজে অর্থনৈতিক সমতা বৃদ্ধি পাবে এবং ব্যক্তিগত সম্পত্তির ধারণা দুর্বল হয়ে পড়বে।
তিনি বলে গিয়েছেন, ২০৭৬ সালের মধ্যে সারা বিশ্বে কমিউনিজ়ম ফিরে আসবে। ২১৩০ সালে মানুষ ভিনগ্রহীদের সাথে যোগাযোগ করতে পারবে, ২১৭০ সালে খরা হবে।
২০২৮ সালে মানুষ শুক্রকে শক্তির উৎস হিসেবে অন্বেষণ শুরু করবে, ২০৩৩ সালে বিশ্বব্যাপী সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবোটিক্স এবং অটোমেশনের কারণে ভবিষ্যতে পুঁজিবাদী কাঠামো দুর্বল হয়ে পড়তে পারে।
৩৭৯৭ সালে মানুষ পৃথিবী ছাড়তে বাধ্য হবে, কেননা তখন থেকে পৃথিবী বসবাস-অযোগ্য এক জায়গায় পরিণত হবে। ১৯১১ সালে বুলগেরিয়ায় জন্মগ্রহণকারী বাবা ভাঙ্গার আসল নাম ছিল ভ্যাঞ্জেলিয়া পান্ডেভা গুশতেরোভা।
(Disclaimer: প্রচলিত ধর্মীয় রীতি, শাস্ত্র বা তত্ত্বের ভিত্তিতে এই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এটি মানা বা না মানার সুপারিশ করা হচ্ছে না। বিশ্বাস ব্যক্তিগত বিষয়। সচেতন পাঠক যা করবেন স্বদায়িত্বে। আমাদের সম্পাদকীয় দফতরের কোনও দায়বদ্ধতা নেই।)