সূর্যের প্রচন্ড দাবদাহে সকলরে হাঁসফাঁস অবস্থা। গরম থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য খান এই পাঁচ শরবত। এই শরবতগুলি শরীরকে হাইড্রেট করতে এবং ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করবে।
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: লেবু সারা বছরই সবার বাড়িতে থাকে। বাড়িতে যদি কোনও ফল বা শরবত বানানোর কিছুই না থাকে, তবে এই প্রচন্ড গরমে এক গ্লাস লেবুর শরবত সহজেই বানিয়ে নিতে পারবেন। লেবুতে ভিটামিন সি থাকে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করবে। এছাড়াও এটি ওজন কমাতে, ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে।
প্রখর এই গরমে ডাবের জল খাওয়া অত্যন্ত ভালো। গরমে অতিরিক্ত ঘাম বেরোনোর ফলে শরীরে প্রয়োজনীয় জলের মাত্রা কমতে শুরু করে। ফলে ডিহাইড্রেশনের সমস্যার হওয়া খুবই স্বাভাবিক। এই ডাবের জল শরীরে জলের ঘাটতি দূর করে। এতে কার্বোহাইড্রেড রয়েছে যা এনার্জি বাড়ায়।
তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করা অবস্থা সকলের। এই ছাঁস বা বাটারমিল্ক শরীরকে হাইড্রেটেড রাখবে। এছাড়াও ইমিউনিটি শক্তি বাড়ানোর সঙ্গে অন্ত্রের সমস্য়াও দূর করবে। এই পানীয় বানানোর জন্য টক দই, জিরে গুড়ো, বিট নুন, ঠান্ডা জল এবং পুদিনা পাতা একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিতে হবে।
গরম মানেই তো আম। কাঁচা-পাকা সব আম দিয়েই শরবত বানিয়ে খাওয়া যায়। তবে কাঁচা আমের শরবত বা আম পান্না এই তীব্র গরমে শরীরকে ডিহাইড্রেট হতে দেবে না। এছাড়াও এই পানীয় অন্ত্রের সমস্যা দূর করে এবং ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করবে। আম পান্না বানাতে প্রয়োজন কাঁচা আম, বিট নুন, জিরে গুড়ো এবং ঠান্ডা জল। এগুলিকে একসঙ্গে মিক্সিতে ব্লেন্ড করে নিতে হবে।
এই গরমে স্বস্তি পেতে খান বেল পানা। ঠান্ডা এই পানীয়তে আছে ভিটামিন এ, বি ও সি, যা আপনাকে এই গরমে সতেজ অনুভব করাবে। বেল পানা তৈরী করার জন্য বেলের পাল্প বের করুন, তারপর তাতে গুড়, বিট নুন, ঠান্ডা দুধ দিয়ে মিক্সিতে একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিতে হবে।