Bipattarini Puja Rituals 2025: শুম্ভ ও নিশুম্ভ অসুরদের দ্বারা দেবতারা পরাজিত হওয়ার পরে, দেবতারা মহামায়ার স্তব করেন। মহামায়া তখন বিপদতারিণী রূপে আবির্ভূত হন এবং দেবতাদের রক্ষা করেন।
রথের পরেই বিপত্তারিণী আসে। এবারেও এসেছে। তবে, বিপত্তারিণীর জন্য সাধারণত দুটি দিন ধার্য হয়। যেমন, আজ, শনিবার, ২৮ জুন বিপত্তারিণী ব্রত পালিত হবে। পরের দিনটি ১ জুলাই, মঙ্গলবার।
কে এই বিপত্তারিণী? বলা হয়, দেবী দুর্গারই একটি বিশেষ রূপ তিনি। দুর্গার মতোই তিনি ভক্তদের রক্ষা করেন।
শুম্ভ ও নিশুম্ভ নামে দুই অসুর দেবতাদের পরাজিত করল। দেবতারা অসুরদের কবল থেকে মুক্তি পেতে মহামায়ার স্তব করলেন। মহামায়া তখন বিপদতারিণী রূপে আবির্ভূত হলেন এবং দেবতাদের রক্ষা করলেন। দেবতারা শুম্ভ-নিশুম্ভকে বধ করার জন্য দেবী দুর্গার পূজা করেন এবং দেবী তাঁদের সেই বিপদ থেকে রক্ষা করেন। তাই তাঁর এই বিপত্তারিণী অবতার।
আষাঢ় মাসের সোজা রথ থেকে উল্টোরথের মধ্যে যে মঙ্গলবার ও শনিবার পড়ে, সেই বারগুলিতে এই বিপত্তারিণী ব্রত ও পুজো করা হয়ে থাকে। এ বছর রথযাত্রা পালিত হল ২৭ জুন, শুক্রবার। উল্টোরথ আছে আগামী ৫ জুলাই। এর মধ্যেই পড়েছে বিপত্তারিণীর দুটি দিন।
বিপত্তারিণীর পুজোয় ১৩ সংখ্যাটি অত্যন্ত মাহাত্ম্যপূর্ণ এবং গুরুত্বপূর্ণও। বাড়ির মেয়েরাই মূলত এই ব্রত পালন করেন। ব্রতের শেষ পরিবারের সদস্যদের হাতে লালসুতোয় ১৩টি দূর্বা-সহ ১৩ টি গিঁট দিয়ে বেঁধে দেওয়া রীতি।
বিপত্তারিণী ব্রতের ক্ষেত্রে কিন্তু বেশ কিছু নিয়ম আছে, যার বিচ্যুতি ঘটলে ভক্তদের বড় অপরাধ ঘটে যায়। দেবীর রোষে কিন্তু সংসার লন্ডভন্ড হয়ে যেতে পারে! বিপদ তো দূর হবেই না, উল্টে তা আরও বেশি গ্রাস করবে!
যেমন, বিপত্তারিণীর পুজো চলাকালীন কখনও কারওর সঙ্গে কথা বলতে নেই! পুজোর সময় কথা বললে ব্যক্তিগত নানা ক্ষেত্রে বিঘ্ন ঘটতে পারে, দেখা দিতে পারে অসুস্থতাও। অপরিষ্কার জায়গায় বিপত্তারিণীর পুজো একেবারেই করবেন না। তাহলে গৃহশান্তি বিঘ্নিত হবে। বিপত্তারিণী পুজোর আগের দিন এবং পুজোর দিনে নিরামিষ ও সাত্ত্বিক আহার গ্রহণ করুন। বিপত্তারিণী পুজোর পরে উপবাসভঙ্গ করুন লুচি খেয়ে! বাড়ির যিনি ব্রতী নন, তাঁকেও নিরামিষ খেতে হবে। বিপত্তারিণী পুজোর দিন ভুলেও নেশাদ্রব্য গ্রহণ করবেন না।
(Disclaimer: প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এই পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, কোনও সুপারিশ করা হচ্ছে না।)