Chhaya Kadam: সবে কর্মজীবনে সাফল্যের মুখ দেখতে শুরু করেছিলেন অভিনেত্রী। ‘অল ইউ ইমাজিন অ্যাজ় লাইট’ এবং ‘লাপতা লেডিজ়’— দু’টি ছবিই প্রশংসিত। এর মধ্যে তবে কি কোনও বিপদের মুখে পড়বেন অভিনেত্রী?
১৯৯৯ সালে জোধপুরে একটি ছবির শুটিং করতে গিয়ে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ ওঠে সলমন খানের নামে।
এ বার তিন ধরনের বিরল বন্যপ্রাণী খেয়ে ফেললেন ‘লাপতা লেডিস’ খ্যাত অভিনেত্রী ছায়া কদম।
মারাঠি এই অভিনেত্রীর সিনেমা ‘অল ইউ ইমাজিন অ্যাজ় লাইট’ কান চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চে সম্মানিত হয়েছেন। তিনি নাকি নিজেই স্বীকার করেছেন তিনি ইগুয়ানা, কচ্ছপ ও হরিণের মাংস খেয়েছেন।
থানে শহরের একটি এনজিও প্ল্যান্ট অ্যান্ড অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি (PAWS) থেকে থানে প্রধান বন সংরক্ষক এবং বিভাগীয় বন কর্মকর্তা তাঁকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন।
ইতিমধ্যেই শিকারীদের খুঁজে বের করার জন্য এবং অভিনেত্রীকে মাংস কে দিয়েছিল তা শনাক্ত করার জন্য একটি দল গঠন করেছে।
মামলার তদন্তকারী অফিসার রাকেশ ভোইর এফপিজেকে বলেন, আমরা ফোনে কদমের সাথে যোগাযোগ করেছি। তিনি আমাদের জানিয়েছেন যে তিনি শহরের বাইরে আছেন এবং চার দিন পরেই ফিরে আসবেন। যে তিনি আইনি পরামর্শ করবেন এবং তদন্তের জন্য সহযোগিতা করবেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেকজন অফিসার বলেন, একটি রেডিও চ্যানেলে কদমের দেওয়া ভিডিও সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে, আমরা সেই এলাকার চোরাশিকারিদের খুঁজে বের করব যেখানে এই ঘটনা ঘটেছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া নিশ্চিত করব।
'লাপাতা লেডিস' সিনেমায় অভিনয় করা কদম একটি রেডিও চ্যানেল কর্তৃক আপলোড করা একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে সংরক্ষিত বন্যপ্রাণী প্রজাতির মাংস খাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন বলে অভিযোগ।
ইউটিউবে পোস্ট করা সাক্ষাৎকারে দাবি করা হয়েছে যে তিনি ইঁদুর হরিণ, খরগোশ, বুনো শুয়োর, মনিটর টিকটিকি এবং শজারু জাতীয় প্রাণীর মাংস খেয়েছেন।
এমনিতেই ভারতে এই তিন প্রাণী হত্যা নিষিদ্ধ। অভিনেত্রী কী ভাবে এই তিন বিরল প্রাণীর মাংস পেলেন তাঁর খোঁজ চালানো হচ্ছে।