BrahMos Missile A. P. J. Abdul Kalam connection: কীভাবে হয় এই 'ব্রহ্মস'-এর নামকরণ? দুই নদীর নাম জুড়েই তৈরি হয়...
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ব্রহ্মস! এই একটাই নাম কাঁপিয়ে দিয়েছে পাকিস্তানকে। এই একটাই নাম নজর কেড়েছে সারা বিশ্বের। ব্রহ্মসের গতি ও এর নিখুঁত আঘাত হানার ক্ষমতার প্রমাণ মিলেছে পাকিস্তানের নূর খান এয়ারবেসে ভারতের প্রত্য়াঘাতেই। বলছেন যোগী আদিত্যনাথ থেকে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্বের ১৭টি দেশ ভারতের এই ব্রহ্মাস্ত্র, 'ব্রহ্মস' কিনতে চেয়েছে। ইতিমধ্যেই ফিলিপিন্সকে ৩৭৫ মিলিয়ন ডলারে ব্রহ্মস বিক্রিও করেছে ভারত। জানেন কি, বিশ্বের কুর্নিশ কুড়ানো ভারতের ব্রহ্মস আসলে কার 'ব্রেইন চাইল্ড'? ব্রহ্মস তৈরিতে কার মুখ্য ভূমিকা?
আসলে ব্রহ্মস আর কারও নয়, ভারতের 'মিসাইল ম্যান' ড. এ পি জে আবদুল কালামের 'ব্রেইন চাইল্ড'। তিনিই প্রাণপুরুষ ব্রহ্মসের। এই ইতিহাস জানতে গেলে পায়ে পায়ে পিছিয়ে যেতে হবে ২৭ বছর।
ভারতের ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের অধিকর্তা তখন কালাম স্যার। আর প্রধানমন্ত্রী আই কে গুজরাল। ১৯৯৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার এনপিও মাশিনোস্ট্রয়েনিয়া আর ডিআরডিওর মধ্যে চুক্তি সই হয়।
স্থির হয় ইন্ডিয়া'স ইন্টিগ্রেটেড গাইডেড মিসাইল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (IGMDP)-র আওতায় ভারত ও রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে তৈরি হবে সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল। এই IGMDP-র কেন্দ্রীয় চরিত্র ছিলেন ড. এ পি জে আবদুল কালাম।
IGMDP-র আওতায় বিভিন্ন মিসাইল তৈরির নেতৃত্বে ছিলেন এক ও অবিসংবাদী কালাম স্যার। শুরু হয় আসল কাজ। ভারত-রুশ যৌথ উদ্যোগে বিভিন্ন মিসাইল তৈরি করা শুরু করে ভারত।
যার মধ্যে রয়েছে অগ্নি সিরিজ, পৃথ্বী, আকাশ ও নাগ। তারই মধ্যে রয়েছে ব্রহ্মসও। ভারতের ব্রহ্মপুত্র আর রাশিয়ার মস্কভা নদীর নাম জুড়ে নাম রাখা হয় ব্রহ্মস।
২০০১-এর ১২ জুন ওড়িশার চাঁদিপুর থেকে প্রথম পরীক্ষামূলক সফল উৎক্ষেপণ করা হয় ব্রহ্মসের। তারপর আড়াই দশকে সেই ব্রহ্মসের তেজ আর নিশানা আরও বেড়েছে, আরও নিঁখুত হয়েছে।
এই ব্রহ্মস মিসাইলের তৈরি থেকে আধুনিকীকরণ- সবটাই IGMDP প্রোগ্রামে ভারতের 'মিসাইল ম্যান' ড. আবদুল কালামের দূরদৃষ্টি ও নেতৃত্বের-ই ফলাফল।
প্রায় ৩০০ থেকে ৮০০ কিলোমিটার পাল্লা ব্রহ্মসের। ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৫ কিলোমিটার উপর দিয়ে উড়তে সক্ষম।