: ঠিক ১৩ হাজার ফিট উপরে, সমুদ্রের মাধ্যাকর্ষণ শক্...
)
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মাঝ-আকাশে হঠাৎ বিকল বিমানের ৪টে ইঞ্জিনই। বিমানে তখন ২৪৮ জন যাত্রী। লন্ডন থেকে অকল্যান্ড যাচ্ছিল বিমানটি। সেইসময়ই মাঝআকাশে হঠাৎ বিকল হয়ে যায় বিমানের ৪টে ইঞ্জিন-ই।
)
পরিণতি অবশ্যম্ভাবী ভেবে সেইসময় ক্যাপ্টেন থেকে কেবিন ক্রু সবারই হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসার কথা। কিন্তু সেই বিমানের ক্যাপ্টেন ঘটিয়েছিলেন মিরাক্যল। বিমানের ইঞ্জিন বিকল, বিপদ বুঝতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের সেই সম্বন্ধে ওয়াকিবহল করেন তিনি।
)
কেবিনে শোনা যায় ক্যাপ্টেন-এর ভয়েস। ককপিট থেকে ইনটারকমে ক্যাপ্টেন বলে ওঠেন, “মাননীয়-মাননীয়া, আমি তোমার ক্যাপ্টেন বলছি। আমাদের একটা ছোটো সমস্যা হয়েছে। ৪টে ইঞ্জিনের প্রত্যেকটাই কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা আমাদের সর্বশক্তি দিয়ে ইঞ্জিনগুলো পুনরায় চালু করার চেষ্টা করে চলেছি। আমি বিশ্বাস করি, তোমরা খুব বেশি অসুবিধার মধ্যে নেই।"
)
এদিকে বিমান তখন দ্রুত নীচের দিকে নামছে। আর কেবিন ক্রুরা চেষ্টা করে চলেছেন বিমানের ইঞ্জিন চালুর। এভাবে নামতে নামতে ঠিক ১৩ হাজার ফিট উপরে, সমুদ্রের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির আওতায় আসার মাত্র ১ মিনিট আগে একটি ইঞ্জিন আবার চলতে শুরু করে। তারপর একে একে বাকিগুলোও।
)
শেষে জানলার কাঁচ ভেঙে যাওয়া ছাড়া আর কোনও ক্ষয়ক্ষতি ব্যতিরেকেই ২৩৮ জন যাত্রী নিয়ে নিরাপদে জাকার্তায় অবতরণ করে বিমানটি। উড়ান ইতিহাসে এই ঘটনা শুধু এক বিস্ময় নয়, কঠিন পরিস্থিতিতেও ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ ফ্লাইট ৯-এর ওই বিমানের পাইলট ক্যাপ্টেন এরিক মুডির দৃঢতাকে দৃষ্টান্ত হিসেবে তুলে ধরে।
)
১৯৮২ সালের ২৪ জুন ঘটেছিল এই ঘটনাটি। জানা যায়, লন্ডন থেকে অকল্যান্ডগামী ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ ফ্লাইট ৯-এর বোয়িং ৭৪৭ ভারত মহাসাগরের উপর ৩৭ হাজার ফিট উপরে থাকা অবস্থায়, আচমকাই ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট গ্যালাংগাংয়ের অগ্ন্যুপাতের ফলে তৈরি হওয়া 'অ্যাশ ক্লাউড' বা ছাইয়ের মেঘের মধ্যে পড়ে যায়।
)
যে ছাই ধরা পড়েনি রাডারে। এদিকে এই ছাইয়ের জেরেই মুহূর্তের মধ্যে একে একে কাজ করা বন্ধ করে দেয় বিমানের ৪টে ইঞ্জিন-ই। বিপদ বুঝতে পেরেই দৃঢ় সিদ্ধান্ত নেন ক্যাপ্টেন মুডি। মুডির সেদিনের বলা কথা, গভীর সংকটের মধ্যেও শান্ত ও দৃঢ় থাকা পরবর্তীকালে বিভিন্ন ফ্লাইট স্কুলে বিপর্যয় মোকাবিলা পাঠক্রমের অন্তর্গত।
Newsletter
