আজ রাতে পিস ওয়ার্ল্ডেই শায়িত থাকবে বুদ্ধদেব বাবুর নশ্বর দেহ। শুক্রবার সকালে সেখান থেকে বিধানসভায় নিয়ে যাওয়া হবে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মরদেহ। তারপর সিপিএমের রাজ্য দফতর আলিমুদ্দিন স্ট্রিট, দীনেশ মজুমদার ভবন। শেষে এনআরএস-এ দেহ দান।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পাম অ্যাভিনিউয়ের যে দু' কামরার ফ্ল্যাটের সঙ্গে তাঁর নাড়ির টান ছিল, সেই ঠিকানা ছেড়ে শেষবারের মতো চলে গিয়েছেন তিনি।
পড়ে রইল আলমারি ঠাসা বই, দেওয়ালে টাঙানো বিভিন্ন পোট্রেইট আর তাঁর ব্যবহৃত অসংখ্য জিনিস। যে দেওয়ালে চে-লেনিনের সঙ্গেই শোভা পায় চ্যাপলিনের ছবি।
কিশোরকবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ভাইপো, আদ্যোপান্ত শিল্প ও রবীন্দ্র অনুরাগী বুদ্ধদেবের ঘরে রয়েছে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও মোনালিসার ছবিও।
শেষ জীবনটা শয্যাশায়ী ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি হতে হলেও, হাসপাতালে থাকা তিনি একদমই পছন্দ করতেন না।
তাই বাড়িতেই চিকিত্সার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের জন্য। চিকিত্সকদের পরামর্শে ঘরবন্দি জীবন-ই কাটাতেন বুদ্ধদেব।