Air India crash report: ২৭১ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু আমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায়। ভয়াবহ দুর্ঘটনার প্রাথমিক রিপোর্টে উঠে এল একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
রাজীব চক্রবর্তী: আমদাবাদে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়া বিমানের ভয়াবহ দুর্ঘটনার প্রাথমিক রিপোর্টে উঠে এল একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ১২ জুন আমদাবাদ থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ড্রিমলাইনার বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে বেশ কিছু গুরত্বপূর্ণ তথ্য সামনে এনেছে এয়ারক্রাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (AAIB)।
বিমানটি ০৮:০৮:৪২ UTC-তে ১৮০ নট গতি (IAS) ছুঁয়েছিল। ঠিক সেই সময় ইঞ্জিন-১ ও ইঞ্জিন-২-এর ফুয়েল কাট-অফ সুইচ এক সেকেন্ডের ব্যবধানে RUN থেকে CUTOFF হয়ে যায়, যার জেরে দুই ইঞ্জিনের শক্তি হ্রাস পেতে শুরু করে।
ককপিট ভয়েস রেকর্ডারে শোনা যায়, এক পাইলট অপর পাইলটকে প্রশ্ন করছেন, “তুমি ইঞ্জিন বন্ধ করলে কেন?” জবাবে অপর পাইলট জানান, তিনি ইঞ্জিন বন্ধ করেননি।
উড়ানের কিছুক্ষণের মধ্যেই Ram Air Turbine (RAT) বাইরে বেরিয়ে আসে, যা একটি বড় ধরনের যান্ত্রিক ত্রুটির ইঙ্গিত দেয়। সিসিটিভি ফুটেজে পাখির ধাক্কার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
০৮:০৮:৫২ UTC-তে দুই ইঞ্জিনের ফুয়েল সুইচ ফের RUN অবস্থায় নিয়ে আসা হয়। ইঞ্জিন-১ সফলভাবে পুনরায় চালু হয়। ইঞ্জিন-২ চালু হলেও তার থ্রাস্ট বা গতি নিয়ন্ত্রণ স্থিতিশীল থাকেনি।
০৮:০৯:০৫ UTC-তে পাইলট “Mayday” সংকেত পাঠান, তবে ATC-র তরফে পরবর্তী বার্তার কোনও জবাব মেলেনি। ০৮:১৪:৪৪ UTC-তে বিমানবন্দরের দমকল বাহিনী দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছয়।
ড্রোনের সাহায্যে এলাকা পর্যবেক্ষণ করে ধ্বংসাবশেষ সংরক্ষিত স্থানে স্থানান্তরিত করা হয়। ইঞ্জিন-সহ গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ পরীক্ষার জন্য আলাদা করে সিল করে রাখা হয়েছে। বিমানে ব্যবহৃত ফুয়েল পরীক্ষায় মান ঠিক ছিল বলে প্রমাণিত হয়েছে।
APU এবং বাম পাখা থেকে সংগৃহীত সীমিত পরিমাণ জ্বালানির নমুনা পরীক্ষাধীন। ক্রু ও যাত্রীদের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত B787-8 মডেলের বিমান ও GE GEnx-1B ইঞ্জিন নিয়ে কোনও সতর্কবার্তা জারি করেনি কর্তৃপক্ষ।
AAIB তদন্তে আরও তথ্য ও প্রযুক্তিগত উপাদান সংগ্রহ করছে। প্রসঙ্গত, পুরো ঘটনার কারণ জানতে চূড়ান্ত তদন্ত রিপোর্টের দিকেই এখন নজর সব মহলের।