তাপপ্রবাহে শহরে ১৩০০ জনের মৃত্যুর পরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। শুরু হয় অ্যাকশন প...
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রবল দাবদাহে বিধ্বস্ত জনজীবন। তাপপ্রবাহ চলছে। মাথার উপরে গনগনে সূর্য ৪২ ডিগ্রিতে আগুন ঝরাচ্ছে। গরমের জ্বালাপোড়া জ্বলুনি ধরিয়ে দিচ্ছে সারা শরীরে। সেই প্রবল দাবদাহের মধ্যেই এক দারুণ স্বস্তি...
চড়া রোদ, প্রবল গরম থেকে মাথা বাঁচাতে সবাই ছুটছে একটা বাসস্টপে! কারণ তীব্র দাবদাহের মধ্যেই সেই বাসস্টপটাই হচ্ছে একমাত্র 'কুল'! একমাত্র স্বস্তি... কিন্তু মোটেই শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বা এসি বাসস্টপ নয় সেটি!
অবাক হচ্ছেন? ভাবছেন একি গাঁজাখুরি গল্প? একদমই না। এসি ছাড়াই এই 'কুল বাসস্টপ' তৈরি হয়েছে অমদেবাদ শহরে। আর সেখানেই গরমে একটু ঠান্ডা হতে ছুটে ছুটে যাচ্ছেন মানুষ।
৪২ ডিগ্রির গরমের মধ্যে ওই বাসস্টপ যেন পরিণত হয়েছে মরুদ্যানে। অমেদাবাদ শহরের কেন্দ্রস্থলে ওই বাসস্টপের ২৫ মিটার অংশ খড় দিয়ে তৈরি মাদুর দিয়ে ঢাকা হয়েছে। যাতে জল ছিটিয়ে দিলে, গরম বাতাস তাৎক্ষণিকভাবে ঠান্ডা হয়ে যায়।
পাশাপাশি, খড়ের চাটাইয়ের সঙ্গেই ওই বাসস্টপে করা হয়েছে ওভারহেড স্প্রিঙ্কলারের ব্যবস্থা। যারফলে মানুষ ওই বাসস্টপে এসে দাঁড়ালেই ঠান্ডা বাতাসের সঙ্গে গায়ে এসে লাগছে ঠান্ডা জলের ছিটে। যা তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মানুষকে স্বস্তি প্রদান করছে।
আসলে অমদেবাদ শহরের ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, আজ থেকে ২৫ বছর আগে ২০১০ সালে তাপপ্রবাহে ১৩০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয় ভারতের পশ্চিমের এই শহরে।
এর ৩ বছর পরই দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম হিট অ্যাকশন প্ল্যান নিয়ে আসে এই শহর। যে প্ল্যানেরই অংশ হিসেবে এই 'কুল বাসস্টপ'।