শুক্রবার সন্ধ্যায় ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে বাহানগা বাজার স্টেশনে ৩টি ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস, ডাউন যশবন্তপুর এক্সপ্রেস ও একটি মালগাড়ি।
)
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শিউরে ওঠার মতো হাড়হিম করা তথ্য এবার সামনে এল করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা কাণ্ডে। বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে এমন ৪০ যাত্রীর সন্ধান মিলল, যাদের দেহে নেই কোনও আঘাতের চিহ্ন।
)
জানা গিয়েছে, ওই ৪০টি দেহের শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। নেই কোনও রক্তপাতের চিহ্নও। তাহলে কী করে মৃত্যু হল ওই ৪০ জনের? সেখানেই উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
)
মনে করা হচ্ছে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই ৪০ জনের। দুর্ঘটনার অভিঘাতে ছিঁড়ে গিয়েছিল হাইটেনশন তার। মনে করা হচ্ছে, সেই তার ছিঁড়ে পড়ে লাইনচ্যুত কামরার উপরে। যার ফলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারান তাঁরা।
)
জিআরপির তরফে দায়ের করা এফআইআর-এও এর উল্লেখ রয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, সংঘর্ষের ফলে ও বিদ্য়ুৎস্পৃষ্ট হয়ে মানুষের মৃত্যু হয়েছে। প্রসঙ্গত, শুক্রবার সন্ধ্যায় ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে বাহানগা বাজার স্টেশনে ৩টি ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস, ডাউন যশবন্তপুর এক্সপ্রেস ও একটি মালগাড়ি।
)
দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭৮ জন। আহত কমপক্ষে ১,১৭৫ জন। নিহতদের মধ্যে এখনও ১০০ দেহ শনাক্ত সম্ভব হয়নি। ওদিকে রেলবোর্ডের সিদ্ধান্তে এই দুর্ঘটনাত তদন্তভার হাতে নিয়েছে সিবিআই। আদ ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে সিবিআই তদন্তকারী অফিসারদের ১০ জনের একটি দল ।
)
পাশাপাশি জানা গিয়েছে, প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টে অন্তঘাতের কথা উল্লেখ করেছে রেলবোর্ড। প্রধানমন্ত্রীর দফতরে জমা পড়েছে সেই রিপোর্ট। উল্লেখ্য, ওভারস্পিডের কথা আগেই খারিজ করে দিয়েছে রেল। ওদিকে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে বলতে গিয়ে ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং পরিবর্তনের কথা বলেছেন।
Newsletter
