বুধবার থেকেই আবহাওয়ার পরিবর্তন। সোমবার থেকেই পুরীর সমুদ্রে নামা নিষেধ ছি...
আগামী কাল, বৃহস্পতিবার রাতেই বাংলা-ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ডানা। ইতিমধ্যেই পরিস্থিতি মোকাবিলার সব রকম প্রস্তুতি নিয়েছে ওড়িশা সরকার।
খোলা হয়েছে ফ্লাড সেন্টার। প্রস্তুত রাজ্য ও কেন্দ্রীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। আর এ সবের মধ্যেই বড় সিদ্ধান্ত পুরীর জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষের।
এই মুহূর্তে পারাদ্বীপ থেকে ৫৬০ কিলোমিটার ও সাগরদ্বীপ থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ডানা। আজ দিনভর আরও শক্তি বাড়াবে এই ঝড়। আগামী কাল, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১ টা থেকে শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫ টার মধ্যে পুরী ও সাগরদ্বীপের মাঝে ধামরা বন্দরের কাছে ল্যান্ডফল করতে পারে ঘূর্ণিঝড়।
ওডিশার উপকূলবর্তী ও তুলনামূলক ভাবে একটু নিচু এলাকায় বসবাসকারী মানুষজনকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। সাধারণ মানুষকে শুকনো খাবার, পানীয় জল, ওষুধ ও ইমার্জেন্সি লাইট হাতের কাছে মজুত রাখতে বলা হয়েছে।
ওড়িশার রাজস্ব ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী জানিয়েছেন, ৮০০টি সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া স্কুল-কলেজ-সহ আরও ৫০০টি অস্থায়ী ত্রাণকেন্দ্রও তৈরি করা হয়েছে। ওড়িশায় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ২০টি টিম স্ট্যান্ড বাই রাখা হয়েছে।
এর মধ্যে জগন্নাথ মন্দির নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল মন্দির কর্তৃপক্ষ। ডানার প্রভাবে যাতে মন্দিরে কোনও বিপত্তি না ঘটে, সেজন্য আপাতত মন্দিরে প্রবেশ নিষিদ্ধ হল। পুরীর জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, পুণ্যার্থীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে মন্দিরের দরজা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কায় আপাতত ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মন্দির বন্ধ থাকছে। পুজো বন্ধ হবে না। মন্দিরের ভিতরে প্রতিদিনের মতোই সমস্ত নিয়ম মেনে নিষ্ঠার সঙ্গে জগন্নাথের পুজো হবে।