aKumbh: মহাকুম্ভে যাওয়ার পথে বা ফেরার পথে এই দেড়মাসে বহু দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনায় মানুষ আহতও যেমন হয়েছেন, মারাও গিয়েছেন। এবারের মহাকু...
পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা থেকে প্রয়াগরাজের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন গড়বেতার নলপা এলাকার বাসিন্দা প্রণব সাহা ও তাঁর স্ত্রী শ্যামলী সাহা এবং তাঁদের দুই সন্তান।
ওই একই গাড়িতে গোঘাট কামারপুকুরের ভাদুর থেকে প্রণবের শালী পিয়ালী সাহা ও তাঁর স্বামী ও সন্তান-সহ ছিলেন আরও বেশ কয়েকজন।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার গভীর রাতে ঝাড়খন্ডের ধানবাদে এই পথদুর্ঘটনাটি ঘটে। তাঁদের প্রাইভেট কারটি দাঁড়িয়ে থাকা একটি লরির পিছনে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই প্রাইভেটকারের ড্রাইভার-সহ ৪ জনের মৃত্যু হয়।
গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি বাকি সদস্যরা। আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। মৃত চালকের নাম শেখ রাজন আলি, তিনি হুগলির গোঘাট এলাকার বাসিন্দা।
খবর পেয়ে এলাকায় যান তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সেবাব্রত ঘোষ ও দশ নম্বর অঞ্চলের উপপ্রধান সঞ্জয় মণ্ডল। তাঁরা গড়বেতা থানার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। জানা গিয়েছে, গড়বেতা থানার পুলিসের একটি দল রওনা দিয়েছে ঝাড়খণ্ডের উদ্দেশে।
প্রসঙ্গত, কদিন আগেই এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছিল ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের অযোধ্যা গ্রাম থেকে একই পরিবারের ৮ জন একটি গাড়ি করে প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভের দিকে যাচ্ছিলেন। কী ঘটেছিল? দুর্ঘটনাগ্রস্ত ওই গাড়ির চালক জানিয়েছিলেন, তাঁদের গাড়িটি ৭০-৮০ কিমি প্রতিঘণ্টা গতিতে যাচ্ছিল। একটি লরি তাঁদের গাড়িতে ধাক্কা মারে। সেই ধাক্কার জেরে তাঁদের গাড়িটি সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি কন্টেনারে ধাক্কা মারে। এই ঘটনায় মারা যান শান্তনু মুখোপাধ্যায় (৬৫) এবং শৈলেন বন্দ্যোপাধ্যায় (৬০) নামে দুই ব্যক্তি। আহত হন শান্তনুবাবুর ছেলে সৌরভ মুখোপাধ্যায়, স্ত্রী মনসা মুখোপাধ্যায়, পুত্রবধু অনন্যা মুখার্জি, শৈলেনবাবুর স্ত্রী রূম্পা ব্যানার্জি এবং শৈলেনবাবুর নিকট আত্মীয় শিউলি কর্মকার এবং চালক নিজে।