Deadliest Train Accident: বিশ্বের ভয়ংকরতম রেলদুর্ঘটনা? গোটা ট্রেন ভেসে গেল দৈত্যকার ঢেউয়ের স্রোতে, শয়ে-শয়ে মৃত্যু...
ভয়াবহতম এই রেল দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল ২০০৪ সালে। শ্রীলঙ্কার কলম্বোর কাছে। সুনামিতে ভেসে গিয়েছিল আস্ত ট্রেন!
সুনামির কারণে এই ট্রেন দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল। এবং এটিই প্রথম কোনও ট্রেন দুর্ঘটনা যেটি সুনামির জন্য ঘটেছিল।
সমুদ্রের জলের ঢেউ ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছিল ট্রেনের কামরাগুলিকে। মৃত্যু হয়েছিল ১৭০০ জনের। ট্রেনটির নাম ছিল 'মাতারা এক্সপ্রেস (Matara Express) যেটিকে 'ক্যুইন অফ দ্য সি'ও (Queen of the Sea) বলা হত!
ট্রেনের নামটি যেন নিয়তির মতো হয়ে দাঁড়াল! 'ক্যুইন অফ দ্য সি'র ভবলীলা সাঙ্গ হল সমুদ্রজলেই! উফ! ভয়ংকর। ভাবলেই গায়ে কাঁটা দেয়।
সেটা ছিল ক্রিসমাসের সময়। ছিল পূর্ণিমা। এই সময়টায় বৌদ্ধরা প্রার্থনা করেন। সপ্তাহান্তে সেটাই ঘটতে যাচ্ছিল। বৌদ্ধরা তাঁদের মাসিক প্রার্থনা সেরে সকলের সঙ্গে দেখা করতেন। ছুটির সপ্তাহ। তাই ওই ট্রেনে থাকা বেশিরভাগ যাত্রীই তাঁদের পরিবার, বন্ধু-আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন। পেরালিয়া গ্রামের কাছে এসে ট্রেনটি সিগন্যালে থেমে যায়। আর ঠিক ওই সময়েই ৬০ ফুট উঁচু হয়ে আসা সুনামির একটি ঢেউ ঢুকে পড়ে ট্রেনের ভেতর। দৈত্যাকার ঢেউটি গাছের ভেতর দিয়ে গর্জন করে ট্রেনের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। ট্রেনটিকে রেললাইন থেকে ছুড়ে ফেলে দেয় সেই ঢেউ। ঢেউয়ের ধাক্কায় ট্রেনটি ঘুরতে থাকে। সুনামি ট্রেনটির পাশাপাশি ওই অঞ্চলের আশপাশের ঘরবাড়ি ও গাছপালাও গ্রাস করে ফেলে। এলাকার কয়েকশো মানুষ জলে ডুবে যান, তাঁদের ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে যায়। সে এক বিভীষিকা!
সেনারা ধ্বংসাবশেষ থেকে মৃতদেহ উদ্ধারের কাজ করেছিল। তবে দুর্ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া দেহের হিসাব থেকে কতজন যাত্রী ট্রেনে ছিলেন, তা অনুমান করা কঠিন ছিল।