Auspicious Timings on Devshayani Ekadashi: একবার ব্রহ্মা নারদ মুনিকে বলেছিলেন যে সত্যযুগে মান্ধাতা নামে এক চক্রবর্তী রাজা শাসন করেছিলেন। হঠাৎ করে তিন বছর বৃষ্টি না হওয়ায় রাজ্যে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। রাজা এরপর ব্রহ্মার পুত্র অঙ্গিরা ঋষির আশ্রমে পৌঁছান। এমন মতও প্রচলিত।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী দেবশয়নী একাদশী ও পদ্ম একাদশী নামে পরিচিত। এই দিনে একাদশীর উপবাস পালনের পাশাপাশি ভগবান বিষ্ণু ও মা লক্ষ্মীর আরাধনা করা হয়।
ভগবান বিষ্ণুকে উৎসর্গ করা একাদশী উপবাস প্রতি মাসের উভয় পাক্ষিকের একাদশী তিথিতে পালন করা হয়। প্রতিটি একাদশী তিথির নিজস্ব তাৎপর্য রয়েছে।
জগন্নাথের রথ যাত্রার ঠিক পর থেকেই এই একাদশী বিখ্যাত হয়। দেবশয়নী একাদশী হরিশায়নী একাদশী, যোগনিদ্রা একাদশী এবং পদ্মনাভ একাদশী নামেও পরিচিত।
হিন্দু বিশ্বাস অনুসারে, মহাবিশ্বের সংরক্ষণকারী ভগবান বিষ্ণু এই দিন মহাজাগতিক মহাসাগরে গভীর যোগ নিদ্রায় প্রবেশ করে। দৃক সিদ্ধান্ত মতে, "ভগবান বিষ্ণু এই দিনে ঘুমোতে যান এবং চার মাস পরে উত্থান একাদাশীতে ঘুম থেকে ওঠেন।"
দৃক সিদ্ধান্ত অনুসারে, ২০২৫ সালে আশাধার শুক্লা পক্ষে একাদশী তিথি জুলাই ২০২৫ (শনিবার) সন্ধ্যা: ৫: ৫৮ এ শুরু হয় এবং জুলাই ২০২৫ (রবিবার) সন্ধ্যা ৯ টা ১৪ মিনিটে শেষ হয়। সূর্যোদয়ের সময় এবং উদয় তিথি (সূর্যোদয়ের তিথি) অনুসারে একদাশী পর্যবেক্ষণের ঐতিহ্যের ভিত্তিতে, দেবশায়নী একাদশী রবিবার পালন করা হবে।
সূর্যোদয়ের পরের দিন এবং দ্বাদশী তিথির শেষের আগে উপবাস ভাঙা উচিত। যদি দ্বাদশী সূর্যোদয়ের আগে শেষ হয় তবে সূর্যোদয়ের পরে যে কোনও সময় উপোস ভাঙা যেতে পারে। ২০২৫ সোমবার সকাল ৫.২৯ থেকে সকাল ৮.১৬ এর মধ্যে সম্পন্ন করা উচিত, যা সবচেয়ে শুভ সময় হিসাবে বিবেচিত হয়।
পৌরাণিক বিশ্বাস অনুসারে, দেবশয়নী একাদশীর দিন ভগবান বিষ্ণু রাজা বলির সঙ্গে দেখা করতে পাতালে যান। এই ব্রত পালন করলে সকল পাপ নাশ হয় এবং মোক্ষ লাভ হয়।
দেবশয়নী একাদশীর নিয়ম: দেবশয়নী একাদশীর দিন ভাত বা চাল দিয়ে তৈরি জিনিস খাওয়াবেন না ও খাবেন না ব্রতকারী। এই দিনে নখ বা চুল কাটা উচিত নয়।
(Disclaimer: প্রচলিত ধর্মীয় রীতি, শাস্ত্র বা তত্ত্বের ভিত্তিতে এই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এটি মানা বা না মানার সুপারিশ করা হচ্ছে না। বিশ্বাস ব্যক্তিগত বিষয়। সচেতন পাঠক যা করবেন স্বদায়িত্বে। আমাদের সম্পাদকীয় দফতরের কোনও দায়বদ্ধতা নেই।)