Dilip Ghosh on his Step-Son's Death: ঘটনাটি শোনার পরেই গোটা রাজ্য অপেক্ষা করে থেকেছে ছেলের মৃত্যুর পর কী বলেন দিলীপ ঘোষ, তা শোনার জন্য। কী বললেন তিনি? বুক ফেটে যাবে তাঁর কথা শুনলে...
কমলাক্ষ ভট্টাচার্য: আজ, বুধবারই দুর্গাপুরে মামারবাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল দিলীপপত্নী রিঙ্কু মজুমদারের ছেলে প্রীতমের। সেজন্য অফিস থেকে ছুটিও নিয়েছিলেন। এদিকে আজই অস্বাভাবিক মৃত্যু হল প্রীতম ওরফে সৃঞ্জয় দাসগুপ্তের। মৃ্ত্যুর কারণ নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা।
জানা যাচ্ছে, পার্টি করতে ভালবাসতেন প্রীতম। একাকিত্ব কাটাতে প্রায়শই পার্টি করতেন তিনি। গতকাল, মঙ্গলবারও বান্ধবী ও তাঁর দুই অফিস কলিগকে নিয়ে নিউটাউনের বাড়িতে ছিলেন প্রীতম।
নিয়মিত কিছু ওষুধ খেতেন প্রীতম। এর আগে তাঁর একটি অ্যাটাক হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
আজ সকালে মুখে গ্যাঁজলা-জাতীয় কিছু দেখতে পান তাঁর বান্ধবী। প্রীতমের শরীরের রং-পরিবর্তন হচ্ছে বুঝতে পারেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গেই প্রীতমের বান্ধবী ফোন করেন মা রিঙ্কুকে।
ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়েই সল্টলেকে ছুটে আসেন দিলীপপত্নী রিংকুর প্রথম পক্ষের স্বামী তথা প্রীতমের বাবা।
প্রীতম ছোটোবেলায় থাকতেন হালিশহরের বাড়িতে। প্রীতমের মৃত্যুর খবর পেতেই শোকাছন্ন তাঁর হালিশহরের বাড়ি।
প্রীতমের মৃত্যুর খবর পেয়েই কান্নায় ভেঙে পড়েন প্রীতমের জ্যেঠু বিক্রমজিত দাসগুপ্ত ও তাঁর পরিবার।
কী করে প্রীতমের মৃত্যু হল-- তার তদন্ত চায় প্রীতমের পরিবার।
কিন্তু এর মধ্যে দিলীপ কোথায়? গত ১৮ এপ্রিল দিলীপ ঘোষের সঙ্গে প্রীতমের মা রিঙ্কুর বিয়ে হয়েছিল। সেই বিয়েতে তাঁকে দেখা না গেলেও প্রীতম মজুমদার জানিয়েছিলেন, 'আমি খুবই খুশি। এই দিনটার জন্য খুশি। মায়ের জন্য খুশি। মায়ের সিদ্ধান্তকে আমি সমর্থন করি।' সদ্যবিবাহিত দিলীপ ঘোষ ক'দিনই-বা তাঁর ছেলেকে কাছে পেলেন। তাঁর পিতৃহৃদয় মর্মান্তিক কষ্ট পেয়েছে এই খবরে। কিন্তু কী বলবেন তিনি? সারাদিনের ঘটনাক্রমের শেষে নিমতলা শ্মশানঘাটে তাঁর মুখোমুখি হয় সংবাদমাধ্যম।
খুব সংক্ষেপে শোকার্ত দিলীপ ঘোষ বললেন, 'দুর্ভাগ্য আমার। পুত্রসুখ হয়নি, পুত্রশোক হল!' সত্যিই তো পুত্রসুখ তো তিনি উপভোগই করতে পারলেন না, সাততাড়াতাড়ি নিয়তি এসে কেড়ে নিয়ে গেল প্রীতমকে! তাঁকে দিয়ে গেল গভীর পুত্রশোক। তাঁর কথা শুনলে কার না বুক ফাটবে?