Dilip-Rinku Son Death: চিকিৎসকরা এমনও জানিয়ে দিয়েছেন যে, এর মধ্যে কোনও ফাউল প্লে তাঁরা দেখতে পাননি। কোনও আত্মহত্যার ঘটনাও নয়
মঙ্গলবার নিউটাউনের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় দিলীপ ঘোষের স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারের ছেলে সৃঞ্জয় দাসগুপ্ত ওরফে প্রীতমের মৃতদেহ। গতকালই মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করা হয়। সেই ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট মিলেছে।-তথ্য-অয়ন ঘোষাল
কী রয়েছে ময়না তদন্তের সেই প্রাথমিক রিপোর্টে? জানা যাচ্ছে অগ্ন্যাশয় প্রদাহে রক্তক্ষরণ জেরে মৃত্যু হয়েছে প্রীতমের। অগ্নাশয় সহ লিভার এবং কিডনি আকারে বড় হয়ে গিয়েছিল। ধমনীর আকার বেড়ে গিয়েছিল। হৃদ যন্ত্রের আকার বেড়ে গিয়েছিল। -তথ্য-অয়ন ঘোষাল
চিকিৎসকরা এমনও জানিয়ে দিয়েছেন যে, এর মধ্যে কোনও ফাউল প্লে তাঁরা দেখতে পাননি। কোনও আত্মহত্যার ঘটনাও নয়। প্যানক্রিয়াসের রক্তক্ষরণের জেরেই মৃত্যু। -তথ্য-অয়ন ঘোষাল
এদিকে, ছেলের অকালমৃত্যু নিয়ে আজ দিলীপ ঘোষ বলেন, মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ময়নাতদন্তের সম্পূর্ণ রিপোর্ট পেলে বুঝতে পারব। বন্ধু বান্ধব নিয়ে থাকত। একা থাকেনি সেইভাবে। ড্রাগের সমস্যা ওর আগে থেকেই ছিল। ওর কাউন্সেলিং চলছিল। ওর অফিসের ডাক্তার দেখত। হঠাৎ করে কেন হল কি হল রিপোর্ট এলে বুঝতে পারব। -তথ্য-অয়ন ঘোষাল
দিলীপ আরও বলেন, একটা তরতাজা ছেলে। আজকের যুবসমাজের মধ্যে নেশার যে কী প্রভাব, তার এটা একটা নমুনা। ঠিক কী হয়েছিল বলার আগেই তো ছেলেটা শেষ হয়ে গেল। আমাদের সবার কাছে এটা একটা বড় শিক্ষা। আমাদের ছেলেমেয়েরা কোথায় যাচ্ছে কী করছে? তাকে লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষ করে দিলেই দায়িত্ব শেষ হয় না। তারপরেও এতবড় রিস্ক থেকে যায়। এটাই চিন্তার বিষয়। -তথ্য-অয়ন ঘোষাল
গতকাল সংবাদমাধ্যমে রিঙ্কু মজুমদার বলেন, বুঝতে পারছিলাম ও ঠিকমতো খাওয়াদাওয়া করছে না। রান্না করতে পারছে না। সকাল হলেই অফিস চলে যাচ্ছে। বলছে অফিসে খেয়ে নেব। বুঝতে পারছিলাম ওর খাওয়া হচ্ছিল না। বিষয়টি ওঁকে(দিলীপ ঘোষ) বলব বলে ঠিক করেছিলাম। ওকে বলতাম, হয় ছেলেকে এখানে নিয়ে আসব নয়তো ছেলের কাছে যাব। তিন চারদিন ধরে বুঝতে পারছিলাম ওর মনটা ঠিক নেই। রবিবার মাদার্স ডে সেলিব্রেট করে এসেছিল। কেক নিয়ে এসেছিল। শনিবার বলেছিল রবিবার আমার ওখানে যাবে। মাদার্স ডে সেলিব্রিট করবে। ওর সঙ্গে তানিষ্কে গিয়েছিলাম। রবিবার এসেছিল। অনেকক্ষণ ছিল। থেকে যেতে বললাম। কিন্তু ও চলে গেল। -তথ্য-অয়ন ঘোষাল
সল্টলেকের একটি তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার কর্মী ছিলেন বছর সাতাশের সৃঞ্জয়। জানা গেছে, মা রিঙ্কু বিয়ে করে দিলীপ ঘোষের বাড়িতে যাওয়ার পর থেকে সৃঞ্জয় নিউটাউনের সাপুরজি আবাসনে একাই থাকতেন। -তথ্য-অয়ন ঘোষাল