Dilip-Rinku Son Death: সকালে সাপুরজিতে যখন গেলেন তখন কাকে কাকে দেখলেন? রিঙ্কু মজুমদার বলেন, ওর কয়েকজন অফিস কলিগ ছিল। দুজন ছিল
মাঝে মাত্র ২৭ দিন। দিলীপ ঘোষকে বিয়ে করার পর বিশাল ধাক্কা রিঙ্কু মজুমদারের জীবনে। রহস্যজনকভাবে মৃত্য়ু হলে ছেলে সৃঞ্জয় ওরফে প্রীতমের। মঙ্গলবার সাপুরজি আবাসনে ই ব্লকের দোতলায় তার ঘর থেকে উদ্ধার হয় প্রীতমের মরদেহ।
গত ১৮ এপ্রিল দিলীপ ঘোষের সঙ্গে মা রিঙ্কুর বিয়েতে তাঁকে দেখা না গেলেও প্রীতম মজুমদার জানিয়েছিলেন, 'আমি খুবই খুশি। এই দিনটার জন্য খুশি। মায়ের জন্য খুশি। মায়ের সিদ্ধান্তকে আমি সমর্থন করি।' মঙ্গলবার ছেলের ফ্ল্যাট থেকে ফোন পেয়ে নিজেই গাড়ি চালিয়ে ছুটে যান ছেলের কাছে।
সংবাদমাধ্যমে রিঙ্কু মজুমদার বলেন, বুঝতে পারছিলাম ও ঠিকমতো খাওয়াদাওয়া করছে না। রান্না করতে পারছে না। সকাল হলেই অফিস চলে যাচ্ছে। বলছে অফিসে খেয়ে নেব। বুঝতে পারছিলাম ওর খাওয়া হচ্ছিল না। বিষয়টি ওঁকে(দিলীপ ঘোষ) বলব বলে ঠিক করেছিলাম। ওকে বলতাম, হয় ছেলেকে এখানে নিয়ে আসব নয়তো ছেলের কাছে যাব। তিন চারদিন ধরে বুঝতে পারছিলাম ওর মনটা ঠিক নেই। রবিবার মাদার্স ডে সেলিব্রেট করে এসেছিল। কেক নিয়ে এসেছিল। শনিবার বলেছিল রবিবার আমার ওখানে যাবে। মাদার্স ডে সেলিব্রিট করবে। ওর সঙ্গে তানিষ্কে গিয়েছিলাম। রবিবার এসেছিল। অনেকক্ষণ ছিল। থেকে যেতে বললাম। কিন্তু ও চলে গেল।
সকালে সাপুরজিতে যখন গেলেন তখন কাকে কাকে দেখলেন? রিঙ্কু মজুমদার বলেন, ওর কয়েকজন অফিস কলিগ ছিল। দুজন ছিল। তার মধ্যে একজন ওর বান্ধবী। গিয়ে দেখলাম ও যেন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। পাশের ফ্যাটের একজন ওর দেহ ম্যাসাজ করছিল যাতে জ্ঞাণ ফেরে। ওর ফ্যাট থেকে একজনের ফোন পেয়েছিলাম। বলল তাড়াতাড়ি আসুন, মনে হয় ও আরে নেই। ওই ফোন পেয়ে আমিই গাড়ি চালিয়ে ওর কাছে গিয়েছিলাম। ওই গাড়িতেই ওকে নিয়ে গেলাম এক বেসরকারি হাসপাতালে।
গতকাল প্রীতম, প্রীতমের বান্ধবী ও দুই অফিস কলিগ নিউটাউনের বাড়িতে ছিলেন।
ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়েই হাসপাতালে ছুটে আসেন রিঙ্কু মজুমদারের প্রথম স্বামী। প্রীতম যখন ছোট তখনই আলাদা হয়ে যান রিঙ্কু ও তার প্রথম স্বামী। তার পর থেকে একা হাতেই প্রীতমকে বড় করেছেন রিঙ্কু।
সল্টলেকের একটি তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার কর্মী ছিলেন বছর সাতাশের সৃঞ্জয়। জানা গেছে, মা রিঙ্কু বিয়ে করে দিলীপ ঘোষের বাড়িতে যাওয়ার পর থেকে সৃঞ্জয় নিউটাউনের সাপুরজি আবাসনে একাই থাকতেন। সেখানেই মঙ্গলবার সকালে দেহ উদ্ধার হয়েছে তাঁর।