Demise of Rinku Majumder Son: দিলীপ ঘোষের নব্য বিবাহিত স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারের ছেলের অস্বাভাবিক মৃত্যু (Dilip Ghosh Son Death)। ছেলের নাম সৃঞ্জয় দাশগুপ্ত, ডাকনাম প্রীতম। নিউটাউনের বাড়ি থেকে উদ্ধার দেহ । পুলিস সূত্রে খবর, নিউটাউন থেকে বিধাননগরে দেহ পাঠানো হয়। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় আরজিকর হাসপাতালে। প্রাথমিকভাবে অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছেন রিঙ্কু মজুমদারের ছেলে। কিন্তু কী কারণে, সেই বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি। কী কারণে ঘটে গেল এই ভয়ংকর বিপর্যয়?
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দিলীপ ঘোষের নব্য বিবাহিত স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারের ছেলের অস্বাভাবিক মৃত্যু (Dilip Ghosh Son Death)। ছেলের নাম সৃঞ্জয় দাশগুপ্ত (Srinjoy Dasgupta), ডাকনাম প্রীতম। নিউটাউনের বাড়ি থেকে উদ্ধার দেহ ।
পুলিস সূত্রে খবর, নিউটাউন থেকে বিধাননগরে দেহ পাঠানো হয়। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় আরজিকর হাসপাতালে। প্রাথমিকভাবে অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছেন রিঙ্কু মজুমদারের ছেলে। কিন্তু কী কারণে, সেই বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি।
পেশায় আইটি কর্মী ছিলেন রিঙ্কু মজুমদারের ছেলে সৃঞ্জয় মজুমদার। শিগগিরই বিয়ে হওয়ারও কথা ছিল প্রীতম মজুমদারের। বিয়ের পরেই দিলীপ ঘোষণ জানিয়েছিলেন, পাত্রী ঠিক করাই আছে। খুব শীঘ্রই তাঁদের চারহাত এক হবে।
মাত্র ২৫ দিন আগেই বিবাহ সূত্রে আবদ্ধ হন দিলীপ ঘোষ ও রিঙ্কু মজুমদার। রিঙ্কু ঘোষ ছিলেন বিবাহ বিচ্ছিন্না। তাঁর একই পুত্র। বিয়েতে দেখা যায়নি তাঁকে।
মায়ের বিয়ে এড়াতেই কি বিয়েতে আসেননি প্রীতম? জি ২৪ ঘণ্টাকে তিনি জানিয়েছিলেন, 'আমি খুবই খুশি। এই দিনটার জন্য খুশি। মায়ের জন্য খুশি। মা আমার জন্য, সমাজের জন্য অনেকগুলো বছর দিয়েছেন। এখন যে সংসার পাতার কথা ভেবেছেন, সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, মায়ের সেই সিদ্ধান্তকে আমি সমর্থন করি।
প্রীতম বলেছিলেন, 'মা-কে বরাবরই সমর্থন করি, আগেও করেছি, পরবর্তীতেও করব'। কেন উপস্থিত নন তিনি? প্রীতম জানান, 'গুড ফ্রাইডে বলে টানা ৪দিন ছুটি পেয়েছি অফিসে, তাই ঘুরতে এসেছি। আমার অনুপস্থিতি নিয়ে কোনও জল্পনা নেই। আমি ব্যক্তিগতভাবে থাকতে পারলে খুবই খুশি হতাম, মা-ও খুশি হত। উনিও খুশি হতেন'। পাশাপাশি তিনি জানান যে দিলীপ ঘোষকে তাঁর খুবই পছন্দ'।
প্রশ্ন উঠছে, যদি এতটাই খুশি ছিলেন সৃঞ্জয় তথা প্রীতম, তাহলে কেন চরম সিদ্ধান্ত নিলেন? নাকি অন্য কোনও কারণে অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। উত্তর এখনও অজানা।
রিঙ্কু মজুমদারের ছেলের বয়স ২৫ বছর। তিনি আইটি সংস্থার অফিসে কর্মরত। ছেলেকে নিয়ে গর্বিত রিঙ্কুও। বিয়ের সময় তিনি বলেন, 'বিয়েতে ছেলেকে রাখব না বলে আমরা ঠিক করেছিলাম। ঘটনাচক্রে ছেলের অফিসেও আজ থেকে চারদিনের ছুটি পড়েছে। সকালেই বেড়াতে চলে গিয়েছে।'
ছেলের সঙ্গে একমত হয়েই তিনি বলেন, "ছেলে খুব খুশি। আমার ছেলেরও হয়তো একটা বাবার জায়গা ফাঁকা ছিল। ছেলেই ওঁর সঙ্গে দেখা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। ছেলেকে নিয়ে উনি ইডেনে খেলা দেখতে গিয়েছিলেন।”
প্রসঙ্গত, প্রথম বিয়ের ৬ মাস পরেই বুঝতে পেরেছিলেন ভুল জীবনসঙ্গী বেছেছেন। তাও বেশ কয়েকবছর তিনি সংসার করেন, তাঁর জীবনে ছেলে আসে। দীর্ঘ ১৭ বছর তিনি বিবাহবিচ্ছিন্না ছিলেন। সম্প্রতি দিলীপ ঘোষকে বিয়ে করে নতুন জীবন শুরু করেন। এরপরেই ভয়াবহ শোক পেলেন রিঙ্কু।