Himachal Pradesh Flood: তখন ভয়ংকর ধস নেমে আসছে পাহাড় থেকে, ভয়ার্ত কুকুর মুহূর্তেই পরিত্রাতা! প্রায় ৭০ জনকে বাঁচাল শুধু...অত্যাশ্চর্য

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মেঘভাঙা বৃষ্টি-বন্যায় তছনছ হিমাচল প্রদেশে। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৮ জন হয়েছে। হড়পা বানের কবলে পড়ে ভয়ংকর বিপর্যস্ত অবস্থায় হিমাচল।

এরই মধ্যে নিজের অসাধারণ কর্মে নজর কেড়েছে এক কুকুর। চিত্‍কার করে করে সে ৬৭ জনের প্রাণ বাঁচাতে সাহায্য করেছে। ৩০জুন রাতে মান্ডির ধর্মপুর এলাকায় সিয়াথি গ্রামে প্রবল বৃষ্টি। আর তারই মধ্যে একটি বাড়ির দ্বিতীয় তলায় ঘুমোচ্ছিল কুকুরটি। হঠাৎই সে অস্বাভাবিকভাবে ঘেউ ঘেউ করতে থাকে।

তার মালিক নরেন্দ্র পোষ্যের চিত্‍কারে জেগে ওঠেন। এবং দেখতে পান বাড়ির দেওয়ালে একটি বড় ফাটল ধরেছে। এবং তা থেকে জল ঢুকছে। নরেন্দ্রবাবু বলেন, 'কুকুরের আওয়াজ শুনে আমি জেগে উঠি। যখন তার কাছে যাই, দেখি বাড়ির এক দেওয়ালে বড় ফাটল এবং তা থেকে জল ঢুকছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে তাকে নিয়ে নিচে দৌড়ে যাই এবং সবাইকে জানাই।'

সবাইকে জাগানোর পর নরেন্দ্রবাবু গোটা গ্রামকে সতর্ক করেন। এবং সবাইকে নিরাপদ স্থানে পালাতে বলেন। বিপদের আভাস পেয়ে গ্রামের লোকজন সবকিছু ফেলে রেখে নিরাপদ আশ্রয়ের উদ্দেশ্যে পালিয়ে যান।

তার ঠিক কয়েক মিনিট পর বিশাল ভূমিধসে গোটা গ্রাম চাপা পড়ে যায়। প্রায় দশটির মতো বাড়ি ধ্বংস হয়ে যায়। এখন সেখানে মাত্র ৪-৫ বাড়ি ঠিকঠাক অবস্থায় রয়েছে। বাকি সব মাটির নিচে চাপা।

আগাম বিপদের আভাস পেয়ে সারমেয় কীর্তি সত্যিই আশ্চর্যজনক। তার জন্য আজ ২০ পরিবারের ৬৭ গ্রামবাসীর জীবন বেঁচেছে। গ্রামবাসীরা পালিয়ে ত্রিয়ম্বলা গ্রামের নৈনা দেবী মন্দিরে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তারা সেখানে এক সপ্তাহ ধরে বসবাস করছেন এবং এই দুর্যোগের পরে অনেকেই উচ্চ রক্তচাপ, উদ্বেগ ও বিষণ্নতায় ভুগছেন।

হিমাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০ জুন থেকে মনসুন শুরু হওয়ার পর থেকে অন্তত ৭৮ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ৫০ জন বৃষ্টির কারণে ঘটে যাওয়া ভূমিধস, মেঘভাঙ্গা এবং জলপ্রলয়ের মতো দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন, আর ২৮ জন রাস্তার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন।