Dry Days in Festive Months: দীপাবলির রেশ এখনও চলছে। এরপর রয়েছে ছট, জগদ্ধাত্রী পুজো, কার্তিক পুজো। তার উপর, এবার ধীরে ধীরে শীত আসছে। শীতে অনেকেই পান করতে পছন্দ করেন। ছুটির আবহে বা সপ্তাহান্তে প্রিয়জনের সঙ্গে যদি সুরাপাত্র নিয়ে না বসা যায়, তাহলে তো দিনটি মাটি!
অক্টোবর গেল, তবে নভেম্বরও কম যায় না। এই মাস জুড়েও কিছু না কিছু উৎসব।
ইদানীং যে কোনও আনন্দ-উদযাপনের সঙ্গে, উৎসবের সঙ্গে মদ্যপান অনুষঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কিন্তু সবার বাড়িতে তো আর সেলার থাকে না! অনেকেই আড্ডা বসলে তবে বোতল কিনে আনেন। এবং এক বৈঠকেই তার উপভোগ। ফুরিয়ে গেলে আবার কিনতে যেতে হয়। আগে থেকে স্টকের কোনও ব্যাপার নেই!
কিন্তু এরকম কেনবার দিনে বা কেনবার সময়েই যদি না মেলে সুরা? ড্রাই ডে ঘোষিত হলে মদের দোকান বন্ধ থাকে। কিনতে পারা সম্ভব হবে না।
কাকে বলে ড্রাই ডে? এদিন মদের বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার। সাধারণত, ধর্মীয় সাংস্কৃতিক বা জাতীয় দিন উদযাপনের ক্ষেত্রে মদ বিক্রিতে না করা হয়। রাজ্যভিত্তিতে কিছু কিছু দিন বদলে যায়। না হলে গান্ধী জয়ন্তী, প্রজাতন্ত্র দিবস, স্বাধীনতা দিবসে দেশ জুড়ে ড্রাই ডে।
এবার নভেম্বরে এরকম ড্রাই ডে আসছে। তবে সাপ্তাহিক ড্রাই ডে ছাড়া নভেম্বরে আর দুটি মাত্র ড্রাই ডে। একটি, ১৫ নভেম্বর, শুক্রবার। এদিন গুরু নানক জয়ন্তী। দ্বিতীয় দিনটি ২৪ নভেম্বর, রবিবার। এদিন গুরু তেগ বাহাদুর শাহীদি দিবস।
তবে এই বিধিনিষেধ কলকাতায় নয়, এ রাজ্যে নয়। এটা রাজধানী দিল্লির জন্য। দিল্লিতে এই দু'দিন বন্ধ থাকবে মদের দোকান।