নকীব উদ্দিন গাজী
একসময় প্রত্যন্ত সুন্দরবন এলাকার কয়াল বাড়িতেই জাঁকজমক করে হতো দুর্গাপূজা। কিন্তু কালের নিয়মে বন্ধ হয়ে যায় সেই পূজা, অবসান ঘটে জমিদারীত্বের আর তারপর থেকেই স্বপ্নাদেশ পাওয়ার পরই শুরু হয় শ্যামা মায়ের আরাধনা। সুন্দরবনের মথুরাপুরের জমিদার কয়াল বাড়ির পারিবারিক কালীপুজো। এই পুজোর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন জমিদার যদু কয়াল।
জমিদারীত্ব সময় জমিদার কয়াল বাড়িতে দুর্গাপুজো হত। পরবর্তীকালে নানা কারণে বন্ধ হয়ে যায় দুর্গাপুজো। তারপর আবার শুরু হয় পুজো। তবে কালীপুজো।
এই পুজোটি শুরু হয় স্বপ্নাদেশে। প্রায় ২০০ বছরের জমিদার কয়াল বাড়ির এই পুজো। এখানেও কালী মা রূপে পূজিত হন। পুজোর দিনের গহনায় তাঁর গা ভরিয়ে দেওয়া হয়।
ছোট থেকে বড়, সবাই এই পুজোতে অংশগ্রহণ করে। পুজোতে একসময় পাঠা বলি হতো, কিন্তু কালের নিয়মে সে পাঠা বলি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই পুজোর আরও একটি বৈশিষ্ট্য আছে। আজ থেকে ২০০ বছর আগে শুরুতেই প্রতিমার যে দৈর্ঘ্য ছিল, এখনও সেই দৈর্ঘ্যেই প্রতিমা তৈরি বানানো হয়।
পুজোকে ঘিরে নানা অনুষ্ঠানও হয়। কাজের সূত্রে দূর দূরান্ত থেকে পরিবারের সদস্যরা, কালী পুজোর দিনে একসঙ্গে মিলিত হয়। আজও নিয়ম করে মায়ের ভোগ তৈরি হয়। এখন জমিদারীত্ব না থাকলেও পুজোর ঐতিহ্য নিষ্টার সঙ্গে পালন করে আসছে এই কয়াল পরিবার।