Jyoti Malhotra ISI handler exposed: জ্যোতির চারটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এখন তদন্তকারীদের আতশকাচের তলায়। ISI-এর এই অফিসারই জ্যোতিকে পাকিস্তানে বেড়ানোর এলাহি বন্দোবস্ত করে দেয়। হাসানের সঙ্গে রীতিমতো প্রেমের সম্পর্কেই জড়িয়ে পড়েছিলেন জ্যোতি।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পাকিস্তানের সঙ্গে সে সুসম্পর্কযুক্ত। সামনে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জ্যোতি মালহোত্রা এবং আলি হাসান নামে একজন আইএসআই চরের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট তদন্তকারীদের হাতে এসেছে।
ISI অফিসার আলি হাসানের মেসেজ রীতিমতো সন্দেহজনক। আলির কাছে জ্যোতি বিয়ের ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন। জানিয়েছিলেন, তিনি পাকিস্তানে বিয়ে করতে চান। একটি মেসেজে ৩৩ বছরের জ্যোতি লেখে, ‘আমায় পাকিস্তানে বিয়ে করিয়ে দাও।’
পাকিস্তানে অন্তত দু’বার গিয়েছিলেন জ্যোতি। প্রথম বার গিয়েছিলেন ২০২৩ সালে। দ্বিতীয় বার গিয়েছিলেন পহেলগাঁও কাণ্ডের ঠিক আগে আগে। এমনকী দু'জনে সাংকেতিক বার্তাও আদানপ্রদান করেছিলেন।
ভারতে পাক দূতাবাস কর্মী এহসান উর রহিম ওরফে দানিশের সঙ্গে জো-র আলাপ। ক্রমে ঘনিষ্ঠতা। এই দানিশকে ইতিমধ্যেই পাক দূতাবাসে থেকে বের করে দিয়েছে নয়াদিল্লি। তাকে ‘পার্সোনা নন গ্রাটা’ অর্থাৎ অবাঞ্ছিত ব্যক্তি বলে বিতাড়িত করেছে ভারত সরকার।
আর এই দানিশের নাম 'জাট রানধাওয়া' নামে নিজের ফোনে সেভ করে রেখেছিলেন জ্যোতি। এই দানিশ আসলে পাক গুপ্তচর সংস্থা ISI-এর এজেন্ট।
সূত্রের খবর, জেরায় জ্যোতি স্বীকার করেছেন, পাকিস্তানের আইএসআই এজেন্টদের সঙ্গে তাঁর নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। দেশ-বিরোধী তথ্য তিনি পাচার করেছিলেন। হোয়াটসঅ্যাপ, স্ন্যাপচ্যাট, টেলিগ্রামের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখতেন তিনি।
তদন্তকারীদের অনুমান,জ্যোতির ফোন থেকে দিল্লির পাক হাইকমিশনের আধিকারিক দানিশ ও অন্যান্য ISI আধিকারিকদের চ্যাট মুছে ফেলা হয়েছে।