Boycott Traveling to Turkey and Azerbaijan: ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের আবহে বিলিওনেয়ার হর্ষ গোয়েঙ্কা দারুণ তাৎপর্যপূর্ণ কথা বললেন। তিনি ভারতীয় নাগরিকদের আপাতত তুর্কিয়ে ও আজারবাইজানে ভ্রমণে না যাওয়ার অনুরোধ করলেন? কেন?
ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের আবহে বিলিওনেয়ার হর্ষ গোয়েঙ্কা একটা দারুণ তাৎপর্যপূর্ণ কথা বললেন। তিনি ভারতীয় নাগরিকদের আপাতত তুর্কিয়ে ও আজারবাইজান বয়কট করার কথা বলেছেন। কেননা, আমরা সবাই জানি, এই দুটি দেশই পহেলগাঁও কাণ্ডের জেরে ঘটা অপারেশন সিঁদুরের পরে ভারতের পাশ থেকে সরে গিয়েছে।
শিল্পপতি হর্ষ গোয়েঙ্কা তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে মনে করিয়ে দিয়েছেন, গত বছরে, ২০২৪ সালে ভারতীয় পর্যটকেরা এই দুই দেশের অর্থনীতিতে অন্তত ৪০০০ কোটি টাকার অবদান রেখেছিলেন।
হর্ষ গোয়েঙ্কা অনুরোধ করে বলেছেন, সময় এসেছে ভারতীয় পর্যটকেরা এবার তাঁদের মর্যাদাবোধের প্রকাশ রাখুন। যে দেশ ভারতকে সমর্থন করছে না, তাদের অর্থনীতিকে তাঁরাও যেন সমর্থন না করেন।
ভারতীয়রা হাজার হাজার কোটি টাকার অবদান রেখেছেন তুর্কিয়ে-আজারবাইজানের অর্থনীতিতে। সেই দেশের কর্মসংস্থানে ভারতীয়দের পরোক্ষ অবদানের কোনও শেষ নেই! এই দুই দেশের পর্যটনে ভারতীয়দের বিপুল অবদান। হোটেল ব্যবসা,বিমান ব্যবসা, ইত্যাদি নানা ক্ষেত্রে ভারতীয়দের অবদান।
হর্ষ গোয়েঙ্কা বলেছেন, পহেলগাঁও-কাণ্ডের পরে এই দুই দেশই পাকিস্তানকে সমর্থন করেছে। ভারতে এবং বিশ্বের অন্যত্র অপূর্ব সুন্দর সব জায়গা আছে। এই দুটি দেশকে এড়িয়ে চলুন।
ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের সময় শয়তান দেশকে সশস্ত্র ড্রোন এবং অপারেটর সরবরাহ করেছিল তাদের মিত্র দেশ তুর্কিয়ে। এরপরেই তুর্কিয়ে বয়কটের ডাক উঠেছে দেশ জুড়ে।
যে-যে ভারতীয় তুর্কিয়ে এবং আজারবাইজান ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন, তাঁরা সিদ্ধান্ত বদল করতে শুরু করেছেন। একাধিক বুকিং ওয়েবসাইট জানিয়েছে যে, ভূরি ভূরি বুকিং বাতিল হচ্ছে।
৭ মে ভারত অপারেশন সিন্দুরে পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের (POK) সন্ত্রাসী শিবিরে হামলা চালানোর পর, পাকিস্তান যখন ভারতীয় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আক্রমণ করার চেষ্টা করে, তখন তুর্কিয়ে পাকিস্তানকে সামরিক সহায়তা দিয়েছিল। শুধুমাত্র সামরিক ড্রোনই নয়, ড্রোন পরিচালনার জন্য অপারেটিভও সরবরাহ করেছিল। যা প্রমাণ করে যে তারা ভারতে আক্রমণ করার জন্য পাকিস্তানের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল।
তুর্কিয়ে রাষ্ট্রপতি এর্দোয়ানের অধীনে তুরস্ক ইসলামিক মোড় নিয়েছে এবং কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছে।
অথচ, ২০২৩ সালে তুর্কিয়ে ভূমিকম্প হয়েছিল। এর পরেই ত্রাণসামগ্রী দিয়ে তাদের সহায়তা করেছিল ভারত। নাম ছিল-'অপারেশন দোস্ত'।