Meghalaya Missing Couple: ম্যাট্রিমোনিয়াল অ্যাপে সোনমের জন্য পাত্র খুঁজছিলেন তাঁর পরিবারের লোকজন। সেখানে রাজাকে দেখে পছন্দ হয় তাঁর মা বাবার। এরপরের ঘটনা সবার জানা। কিন্তু এবার এই রহস্যময় তৃতীয় ব্যক্তি কে?
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রাজা হত্যাকাণ্ডের তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই সামনে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ইন্দোরের বছর ২৯-এর রাজা রঘুবংশী খুনের নেপথ্যে সামনে এল তৃতীয় ব্যক্তির নাম।
সঞ্জয় বর্মা নামে একজন ব্যক্তির নাম সামনে এসেছে। বিয়ের আগে এবং পরে সোনম রঘুবংশীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ ছিল এই সঞ্জয়ের। তাকে নাকি ১১৯ বার কর করেছে সোনম।
১ মার্চ থেকে ২৫ মার্চের মধ্যে সোনম এবং সঞ্জয়ের বহুবার কল বিনিময় হয়েছে। বর্তমানে যদিও এই নম্বর বন্ধ বলেই সূত্রের খবর।
এর আগে তদন্তে জানা যায়, বিয়ের আগে থেকেই রাজের সঙ্গে সোনমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের ৩ দিনের মাথাতেই রাজের সঙ্গে মিলে রাজাকে খুনের পরিকল্পনা করে সোনম। সেখানে 'হাতিয়ার' করে এই হানিমুন ট্রিপকেই।
এটাও সামনে এসেছে যে, রাজা-সোনম দুজনেই ছিলেন মাঙ্গলিক। তাই গ্রহের দোষ কাটাতেই রাজার সঙ্গে বিয়ের পর তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করে সোনম। এমনকি রাজাকে খুন করে বিধবা হয়ে রাজকে বিয়ের প্ল্যান করেছিল সে।
২৩ মে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সঙ্গে সূত্র থেকে জানা যায় যে, নবদম্পতি ভোর ৫.৩০ মিনিটে নংরিয়াতের শিপারা হোমস্টে হোটেল থেকে বেরিয়ে আধ ঘন্টা পরে চেরাপুঞ্জিতে ট্রেকিংয়ে বেরিয়ে পড়েন।
সোনমের তিন সহযোগী, যারা কাছের একটি হোমস্টেতে ছিল, তারাও একই সময়ে চেকআউট করেন। সকাল ১০টায়, সোনম এবং রাজা ট্রেকিং রুটে প্রায় ২০০০ ধাপ ওঠে।
এদিকে ইন্দোর সোনমের হাইড-আউট অ্য়াপার্টমেন্ট। ফ্ল্যাট নিয়েও প্রচুর সন্দেহ। প্রথমত, এই বাড়িতে সিসিটিভি নেই। তার উপর এর ল্যান্ড লর্ড কখনও তাঁর টেনান্টকে দেখেননি। এমনকি, তিনি এখন তাঁর ঘরের চাবি ফিরে পেতে আগ্রহী।
এদিকে সোনম এবং রাজ দুজনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিস। তাদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরাও করেছে। রাজের বক্তব্য, চরম রাগ সোনমের। তাঁর রাগকে ভয় পাই সবাই। এমনকি সে নিজেও ভয় পেত।