Hooghly Shocking Incident: দরজা ভাঙার চেষ্টা করলে ফল ভালো হবে না-ও বলতে থাকে নাবালক!
বিধান সরকার: কখনও ছুরি দিয়ে, কখনও দড়ি দিয়ে, আবার কখনও গ্যাস জ্বালিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে আত্মহত্যার হুমকি নাবালকের। ছুটে এল দমকল, পুলিস। চার্জ করা হল জল। শেষে ঘরের জাফরি জানালা ভেঙে, প্রলোভন দিয়ে বের করা হল তাকে। বাঁশবেড়িয়ায় জীবনমৃত্যুর কয়েক ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস নাটক!
চক বাঁশবেড়িয়ার তিন নম্বর ঘুমটি এলাকায় মাস খানেক আগে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করে বিহারের একটি পরিবার। আগে তারা গ্যাঞ্জেস জুটমিল লাইনে থাকত। বৃহস্পতিবার দুপুরের পর হঠাৎ নিজের মা-বোনকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে নিজেকে বন্দি করে ফেলে এক নাবালক। তারপর নিজেকে শেষ করে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকে।
তার আচরণে ভয় পেয়ে দরজা খোলার চেষ্টা করেন তার মা। পাড়া প্রতিবেশীরাও জড়ো হয়ে যান। ওই নাবালক কখনও বলে ছুরি নিজের বুকে বসিয়ে দেবে, কখনও বলতে থাকে গলায় দড়ি দিয়ে দেবে! আবার গ্যাস খুলে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার কথাও বলে! দরজা ভাঙার চেষ্টা করলে ফল ভালো হবে না-ও বলতে থাকে। নাবালকের এহেন আচরণে আশঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা।
ডাকা হয় পুলিস। খবর দেওয়া হয় দমকলে। ওদিকে নাবালক ঘর থেকে দাহ্য পদার্থ ছুঁড়তে থাকে। তখন দমকল কর্মীরা ঘরের মধ্যে জল চার্জ করতে শুরু করে। যাতে আগুন না লাগাতে পারে। এপপর ঘরের জাফরি দেওয়া জানালা ভেঙে তার সঙ্গে কথা বলেন সপ্তগ্রাম গ্রামপঞ্চায়েতের সদস্য এবং পুলিস।
ঘরের ভিতর থেকে ওই নাবালক বলতে থাকে, তার ২ লক্ষ টাকা ধার আছে। বাইরে বের হলে তাকে মারধোর করা হবে। কিছুতেই কিছু হচ্ছে না দেখে তাকে প্রথমে আশ্বস্ত করা হয়। পরে প্রলোভন দেওয়া হয় যে গাড়ির পেট্রোল ভরার জন্য ২০০ টাকা দেওয়া হবে।
এই কথা শুনে দরজা খুলে বেরিয়ে আসে নাবালক। তবে তখনও তার হাতে একটা চপার ছিল। পুলিস সাবধানে তাকে ধরে ফেলে। এরপর বাঁশবেড়িয়া মিল ফাঁড়ির ইনচার্জ ওই নাবালককে জাপটে ধরে ফাঁড়িতে নিয়ে যান। ওই নাবালকের চিকিৎসার জন্য বাড়ির লোককে পরামর্শ দিয়েছে পুলিস।
ওদিকে এলাকার বাসিন্দারা জানান, এরকম করলে আগামী দিনে ওই পরিবারকে আর থাকতে দেওয়া হবে না। যদিও নাবালকের মায়ের দাবি,আগে কোনওদিন এরকম আচরণ করেনি ছেলে। অতিরিক্ত টেনশনের জন্য এরকম করেছে।