Main Battle Tanks: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, গাজায় ইসরায়েলের নৃশংস হামলা এবং সম্প্রতি ভারত-পাকিস্তান সংঘাত দেখেছে বিশ্ব। কিন্তু যুদ্ধক্ষেত্রে ট্যাংকের শক্তিতে কে এগিয়ে কে পিছিয়ে জানেন?
বর্তমানে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ট্যাংক আছে চিনের। গত কয়েক বছরে দেশটি নিজেদের ট্যাংকবহর দ্রুত বাড়িয়েছে। দেশটির বর্তমান ট্যাংকের সংখ্যা ৬ হাজার ৮০০। তাদের বহরে ‘টাইপ ৯৯’ ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ‘টাইপ ৯৯এ’ মডেলের ট্যাংক রয়েছে।
রাশিয়ার ট্যাংকবহর বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বড়। তাদের বহরে টি-৭২, টি-৮০, টি-৯০ এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তির টি-১৪ আর্মাতা মডেলের ট্যাংক রয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের আগে দেশটির ট্যাংকের সংখ্যা ছিল ১২৫৫৬টি। রাশিয়ার বর্তমান ট্যাংকের সংখ্যা ৫৭৫০টি।
আমেরিকার ট্যাংকবহর বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক ও শক্তিশালী যুদ্ধযানগুলোর মধ্যে অন্যতম। দেশটির প্রধান ট্যাংকের নাম এম১ আব্রামস। এই ট্যাংকের আধুনিক সংস্করণগুলো হলো এম১এ১, এম১এ২ এবং এম১এ২ সেপ। এদের বর্তমান ট্যাংকের সংখ্যা ৪৬৪০টি।
উত্তর কোরিয়ার ট্যাংকবহর সংখ্যায় বিশাল, কিন্তু প্রযুক্তিগতভাবে পিছিয়ে। বর্তমানে তাদের বহরে ৪৩৪৪টি ট্যাংক রয়েছে। সোভিয়েত রাশিয়ার তৈরি টি৩৪/৮৫, টি৫৫ এবং চীনের টাইপ-৫৯ মডেলের ট্যাংক ব্যবহার করে দেশটি।
ভারতের প্রধান ট্যাংক অর্জুন। নিজেদের তৈরি এই ট্যাংক অত্যাধুনিক প্রযুক্তির। এতে ডিজিটাল ফায়ার কন্ট্রোল সিস্টেম, ১২৫ মিমি স্মুথবোর কামান, উন্নত বর্ম ও অ্যাকটিভ প্রটেকশন সিস্টেম রয়েছে। মডেলটির সর্বশেষ সংস্করণের নাম এমকে-২। এ ছাড়া দেশটি সোভিয়েত আমলের তৈরি টি-৯০ ও টি-৭২ মডেলের ট্যাংকও ব্যবহার করে। তাদের বর্তমান ট্যাংকের সংখ্যা ৪২০১টি।
যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এম১এ১ আব্রামস মিশরের প্রধান ট্যাংক। এ ছাড়া সোভিয়েত আমলের তৈরি টি-৫৫ ও টি-৬২ মডেলের ট্যাংকও ব্যবহার করে দেশটি। দেশটির ট্যাংকের সংখ্যা ৩৬২০।
পাকিস্তানের প্রধান ট্যাংকগুলো হলো আল-খালিদ, আল-জারার, টি-৮০ইউডি, টি-৫৯। চীনের সহায়তায় তৈরি আল-খালিদে ১২৫ মিমি কামান, উন্নত ফায়ার কন্ট্রোল ও স্বয়ংক্রিয় লোডার রয়েছে। এদের ট্যাংকের সংখ্যা ২৬২৭টি।
জার্মানির তৈরি লেপার্ড ট্যাংক ব্যবহার করে তুর্কিয়ে। এই দেশের ট্যাংকবহরে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এম৬০ প্যাটন, জার্মানির লেপার্ড১ ও লেপার্ড২ এবং নিজেদের তৈরি আলতাই রয়েছে। দেশটির বর্তমান ট্যাংকের সংখ্যা ২২৩৮।
দক্ষিণ কোরিয়ার কে২ ব্ল্যাক প্যানথার বিশ্বের সেরা ট্যাংকগুলোর অন্যতম। নিজেদের তৈরি এই ট্যাংকে প্রায় সব অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। দেশটির বর্তমান ট্যাংকের সংখ্যা ২ হাজার ২৩৬টি।
ইরানের মোট ট্যাংকারের সংখ্যা ১৭১৩। প্রধান ট্যাংকারগুলোর মধ্যে রয়েছে সোভিয়েত রাশিয়ার তৈরি টি-৭২, টি-৫৫ ও টি-৬২। নিজেদের তৈরি ট্যাংক হলো জুলফিকার ও কারার।