>How much cash can kept at home: আয়কর আইনের ৬৮ নম্বর ধারা থেকে ৮৬৯বি ধারা পর্য...
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আয় বহির্ভূত সম্পত্তির হিসেব পেলেই বাড়িতে হানা দেয় আয়কর। কিন্তু জানেন কী, আয়করের চোখ এড়িয়ে কত টাকা বাড়িতে রাখতে পারেন আপনি? এই ব্যাপারে ভারতীয় আইন কী বলছে? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
সাধারণত বাড়িতে নগদ টাকা রাখার কোনও আইনি সীমা নেই ভারতে। ভারতে নগদ মজুতের কোনও ঊর্ধ্বসীমা নির্ধারণ করেনি আয়কর দফতর। তবে সেই টাকা আসতে হবে সঠিক উৎস থেকে ও আয়কর রিটার্নে আয়ের উৎসের উল্লেখ থাকতে হবে।
অর্থাৎ আয়ের উৎস চিহ্নিত করা গুরুত্বপূর্ণ। আয়কর আইনের ৬৮ নম্বর ধারা থেকে ৮৬৯বি ধারা পর্যন্ত এব্যাপারে বিশদে বলা হয়েছে। আপনি যদি আপনার দখলে থাকা নগদের উৎস ব্যাখ্যা করতে না পারেন, তবে তা অপ্রকাশিত আয় হিসাবে বিবেচিত হতে পারে।
এখন আয়কর তখন মজুত নগদের উপর জরিমানা সহ কর আরোপ করতে পারে। যা হতে পারে মোট আয়ের ৭৮% পর্যন্ত। তাই আয়ের, নগদ উৎসের সঠিক রেকর্ড রাখুন।
আইনে নগদ রাখার সর্বোচ্চ সীমা নির্দিষ্ট করা না হলেও, যদি কেউ ব্যাখ্যার অতীত অসম্ভব বিপুল পরিমাণ টাকাপয়সা মজুত করেন, স্বাভাবিকভাবেই তা সন্দেহের জন্ম দেবে।
আর আয়কর তদন্তের সময় প্রতিটি টাকার উৎস প্রমাণ করার জন্য নথিপত্র প্রয়োজন। আপনার আয়ের রেকর্ড, ব্যবসায়িক অ্যাকাউন্ট ও আইটিআর ফাইলিংয়ে এই বিপুল পরিমাণ টাকার কথা সেক্ষেত্রে প্রতিফলিত হওয়া উচিত।
এখন আপনি যদি ব্যবসার মালিক হন, তাহলে আপনার ক্যাশবুকে থাকা নগদ অর্থ ও আপনার অ্যাকাউন্ট বইয়ে টাকার পরিমাণ অবশ্যই মিলতে হবে। যে পরিমাণ অর্ বাড়িতে রাখবেন, তার জন্য উপার্জন বা সঞ্চয়ের নথি থাকতে হবে।
সবমিলিয়ে এটাই বলা যায় যে ভারতীয় আইন অনুসারে ঘরে নগদ টাকা রাখা আইনবিরোধী নয়। কিন্তু তার উৎস ব্যাখ্যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার সৎ পথে উপার্জিত অর্থ নির্দিষ্ট প্রামাণ্য নথি সহ বাড়িতে রাখার ক্ষেত্রে কোনও বাধা বা দুশ্চিন্তার কিছু নেই।