Earthquake Alert: সোমবার ভোরে কম্পন টের পাওয়া যায় দিল্লি-সংলগ্ন এলাকায়। কম্পনের উৎসস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫ কিমি গভীরে। উত্তর ভারতের বেশ কয়েকটি অংশে বড়সড় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তীব্র ভূমিকম্প অনুভূত হয় দিল্লি, নয়ডা, গ্রেটার নয়ডা, গাজিয়াবাদেও।
কী বললেন বিজ্ঞানীর? তাঁরা বলছেন, আগামী দিনে এমন লগ্ন আসতে চলেছে, যাতে, মাত্র দু'সপ্তাহে প্রায় ৮,০০০ বার ভূমিকম্প হবে! সারা পৃথিবীতে আসলে বেশ কয়েকটি জায়গা খুবই ভূমিকম্পপ্রবণ। যেমন, গ্রিসের উপকূল। এখানে একের পর এক ভূমিকম্পে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। গ্রিসের সান্তোরিনির কাছে দুই সপ্তাহে বহুবার মাটি কেঁপে উঠেছে। সংখ্যাটা শুনলে আঁতকে উঠবেন! ১৫ দিনে প্রায় ৮,০০০ বার কেঁপে উঠেছে সৈকতশহর সান্তোরিনি।
সান্তোরিনি গ্রিসের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। কিন্তু কম্পনের জেরে সেখানে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, এই এলাকায় যে কোনও সময় বড় বিপদ নেমে আসতে পারে।
জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেসের বিজ্ঞানীর মতে, ভূমিকম্পের মোটামুটি গড় হিসেব দেখলে বোঝা যাবে, ইস্তানবুলে প্রায় প্রতি আড়াইশো বছরে একটি করে বড় মাপের ভূমিকম্প হয়। এখানে সর্বশেষ বিধ্বংসী ভূমিকম্পটি হয়েছিল ১৭৬৬ সালে।
২৫০ বছরে ফের যদি ভূমিকম্প হয়? ২৫০ বছরের ওই সীমা অবশ্য অতিক্রান্ত। তাহলে কি যে কোনও দিন ইস্তানবুলে ভয়াবহ ভূমিকম্প হতে পারে? কয়েক দশকের মধ্যেই এমন একটা বড় ভূমিকম্প এখানে হতে পারে।
ভূকম্পবিদেরা বলছেন, সত্যিই বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে ইস্তানবুলের লক্ষাধিক বাড়ি ধ্বংস হতে পারে। মারা যেতেন পারে লক্ষ লক্ষ মানুষ।
ভূতত্ত্ব বিভাগের এক অধ্যাপক সতর্ক করে বলেছেন, ইস্তানবুল বড় কোনও ভূমিকম্পের জন্য প্রস্তুত নয়। এ অঞ্চলের ঘরবাড়ির গঠনকাঠামো ভূমিকম্পের ঝুঁকির কথা ভেবে তৈরি করা নয়।