India Used HAMMER And SCALP, loitering munitions in Operation Sindoor: অপারেশন সিদুঁর ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি টার্গেট করে প্রত্যাঘাত চালিয়েছে ভারত। গুঁড়িয়ে দিয়েছে লস্করের সদর দফতর। যেখান থেকে ভারতের জম্মু-কাশ্মীরের মাটিতে নাশকতার ছক কষত এই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার বদলায় অপারেশন সিদুঁর (Operation Sindoor)! পাকিস্তানের মাটিতে ঢুকে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিল ভারতীয় সেনা, বায়ুসেনা। একের পর এক ৯ জঙ্গিঘাঁটি ধূলিসাৎ। প্রধান টার্গেট লস্কর-ই-তইবা ও জইশ-এর ঘাঁটিগিুলি! অপারেশন সিদুঁর! জানা যাচ্ছে, অপারেশন সিদুঁরে জঙ্গিঘাঁটিগুলি গুঁড়িয়ে দিতে ভারত মূলত ব্যবহার করেছে হ্যামার ও স্কাল্প (HAMMER and SCALP)। খুব নির্ভুলভাবে দূরপাল্লার লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম এই স্কাল্প মিসাইল। আর হ্যামার হচ্ছে বোমা।
বুধবার কাকভোরে, পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীর (POK)-এ জঙ্গিঘাঁটিগুলি লক্ষ্য করে সামরিক অভিযান শুরু করে ভারত (India hits 9 targets in PoK and Pakistan)। অপারেশন সিদুঁর সামিল হয় স্থলসেনা ও বায়ুসেনা। মোতায়েন ছিল নৌ সেনাও। ২০১৯-এ সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর জঙ্গিদমনে পাক মাটিতে ফের ভারতের প্রত্যাঘাত। ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে ২৬ পর্যটককে খুন জঙ্গিদের। আর সেই হামলার পিছনে উঠে আসে লস্কর-ই-তইবার নাম।
ভারত এই অভিযানে একেবারে নির্ভুলভাবে দূরপাল্লার লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম এমন অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে SCALP নামে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, HAMMER নামে নির্ভুল বোমা ও loitering munitions যাকে বলা হয় 'সুইসাইড ড্রোন'ও। প্রথমবার ভারত এই loitering munitions ব্যবহার করল অপারেশনে।
SCALP ক্ষেপণাস্ত্র যা পরিচিত স্টর্ম শ্যাডো নামেও, একটি দূরপাল্লার ক্রুজ মিসাইল। আকাশ থেকে টার্গেটে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র। ২৫০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্বে লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম। টার্গেটে গভীরভাবে আঘাত করতে পারে, এমন ক্ষমতাসম্পন্ন, এমনই ভয়ংকর ভারতের এই মিসাইল, এভাবেই ডিজাইন করা হয়েছে।
হ্যামার হচ্ছে লক্ষ্যে গভীরভারে আঘাত হানতে সক্ষম একটি স্মার্ট বোমা। লস্কর-ই-তইবা ও জইশ-ই-মহম্মদের (জেইএম) প্রশিক্ষণ ও সরবরাহ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত শক্তিশালী বাঙ্কার ও বহুতল ভবনগুলিতে আঘাত করে এই হ্যামার। নির্ভুলভাবে নির্দেশিত এই হ্যামার। উৎক্ষেপণের উচ্চতার উপর নির্ভর করে ৫০-৭০ কিলোমিটার রেঞ্জের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম এই হ্যামার।
পাক মাটিতে প্রত্যাঘাতে ভারত ব্যবহার করেছে Loitering Munitions। যা 'কামিকাজে ড্রোন' বা সুইসাইড ড্রোন নামেও পরিচিত। নজরদারি, লক্ষ্য়ে নির্ভুল আঘাত, ও টার্মিনাল স্ট্রাইকের জন্য এটি মোতায়েন করা হয়েছিল। ড্রোন সিস্টেমগুলি টার্গেটকে ফিক্সড বা নির্দিষ্ট করে তার উপর চক্কর কেটে তারপর স্বয়ংক্রিয়ভাবে বা রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে লক্ষ্যে আঘাত করে তাকে নির্মূল করে।
অপারেশন সিন্দুরে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি টার্গেট করে প্রত্যাঘাত চালিয়েছে ভারত। যার মধ্যে ৪টি পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডে আর ৫টি পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে অবস্থিত। পহেলগাঁও হামলায় ভারতীয় মা-বোনদের সিঁদুর মুছেছিল জঙ্গিরা। কেউ হানিমুনে গিয়ে স্বামীকে হারিয়ে বিধবা হয়েছেন, কেউ হারিয়েছে তার বাবাকে। সেই হামলার বদলাতেই ভারতের প্রত্যাঘাত অপারেশন সিদুঁর!
আর এই অপারেশন নিয়ে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক স্পষ্ট জানিয়েছে, কোনও পাকিস্তানি সামরিক ছাউনি নয়, এই অপারেশনের লক্ষ্য ছিল একমাত্র নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির ঘাঁটিগুলি-ই।