জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বন্যা বিধ্বস্ত উত্তর সিকিম। পাহাড়ি সিকিমের চারদিকে শুধু তিস্তার ধ্বংসলীলা চালানোর চিহ্ন। বুধবার ভোরে মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে উত্তর সিকিমের লাচেন উপত্যকায় অবস্থিত লোনক হ্রদ ফেটে যায়।
লোনক হ্রদ ফেটে হুড়মুড়িয়ে জল নেমে আসে তিস্তায়। হড়পা বানে তিস্তার জলস্তর বেড়ে যায়। তিস্তার জলের তোড় ভাসিয়ে দেয় সেনা ছাউনি থেকে সেনার বহু গাড়ি। জলে ভেসে নিখোঁজ হয়ে যান ২৩ সেনা জওয়ান।
এই দুর্যোগে বিপর্যস্ত সিকিমে মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যেই বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪। আটকে রয়েছেন বহু পর্যটক। দুর্গত স্থানীয় বাসিন্দা থেকে পর্যটক, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন ভারতীয় সেনা জওয়ানরা।
সিরওয়ানি সরকারি মাধ্যমিক স্কুলে তৈরি করা হয়েছে ত্রাণ শিবির। সেখানেই শিশু সহ ২৫০ জন আশ্রয় নিয়েছেন। ব্রহ্মাস্ত্র কর্পের সেনারা তাঁদের ত্রাণ দেওয়ার পাশাপাশি আহতদের শুশ্রুষাও করছেন।
একইসঙ্গে এখনও নিখোঁজ ২২ জন ভারতীয় সেনা জওয়ানের খোঁজে চলছে তল্লাশি। ত্রিশক্তি কর্পসের জওয়ানরা চালাচ্ছে এই তল্লাশি অভিযান।
প্রসঙ্গত, ২৩ জন নিখোঁজ জওয়ানের মধ্যে একজন জওয়ানকে জীবিত অবস্থায় পাওয়া যায় ৪ তারিখ সন্ধ্যায়। তিস্তার ডাউনস্টিমে তল্লাশি চালানো হচ্ছে নিখোঁজ নাগরিকদেরও।
সেনার তরফে যোগাযোগ করা হয়েছে নিখোঁজদের পরিবারের সঙ্গে। তাদের পরিস্থিতির হালহকিকত সম্পর্কে অবগত করা হয়েছে।
সেনা সূত্রে খবর, সিকিম ও উত্তরবঙ্গে কর্তব্যরত সমস্ত ভারতীয় সেনা জওয়ানরাই সুরক্ষিত আছেন। যদিও মোবাইলের নেটওয়ার্ক কাজ না করায় তাঁরা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না।
ব্রহ্মাস্ত্রের পাশাপাশি ত্রিশক্তি কর্পসের জওয়ানরাও স্থানীয় ও পর্যটকদের উদ্ধারে হাত লাগিয়েছে। উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে চুংথাম, লাচুং ও লাচেনে।
সিংটামের কাছে বুরদাংয়ে তিস্তার কাদামাটি, পলি সরিয়ে কার্যত মাটি খুঁড়ে বের করার মত করে বের করা হচ্ছে চাপা পড়ে যাওয়া সেনার গাড়িগুলি। তিস্তার তাণ্ডবে যার সবই ধ্বংসস্তূপে পরিণত।