Indian immigrants sent back from US: সরকারে এলে মার্কিন মুলুকে নথি ছাড়া বসবাসকারী অভিবাসীদের দেশে ফেরত পাঠানোর কথা বলেছিলেন ট্রাম্প। দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হয়েই সেকাজ শুরু করে দিয়েছেন তিনি।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মার্কিন মুলুক থেকে ভারতীয়দের তাড়ানো শুরু হয়েছে! সেদেশে বসবাসের জন্য যাদের বৈধ নথি নেই, তাদেরই 'ঘাড় ধরে' দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। বুধবার সকালেই ২০৫ জন ভারতীয় অভিবাসীকে নিয়ে টেক্সাসের সান অ্যানটোনিও থেকে পাঞ্জাবের অমৃতসরে অবতরণ করেছে একটি মার্কিন সামরিক বিমান C-17।
এখন প্রশ্ন উঠছে, সেদেশের মাটিতে অবৈধভাবে বসবাসকারী অভিবাসীদের ফেরত পাঠাতে সামরিক বিমান কেন ব্যবহার করছে ট্রাম্প প্রশাসন? কারণ এই C-17 যথেষ্ট দামী। আর সামরিক বিমানে করে অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো অস্বাভাবিকও বটে! সচরাচর মার্কিন মুলুকে এমনটা দেখা যায়নি। উল্লেখ্য, কলম্বিয়ার রাষ্ট্রপতি বলেও দিয়েছিলেন যে, অসামরিক বিমানে করেই তিনি তাঁর দেশের নাগরিকদের পাঠাতে হবে।
কিন্তু তারপরেও ট্রাম্প প্রশাসন সামরিক বিমানেই ফেরত পাঠাচ্ছে অভিবাসীদের!জানা গিয়েছে, দুধরনের বিমানে অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর খরচ তুলনা করে দেখা গিয়েছে যে, সামরিক বিমানের ক্ষেত্রে প্রতি অভিবাসী পিছু খরচ অনেক বেশি, অসামরিক বিমানের থেকে ৫ গুণ বেশি।
সম্প্রতি গুয়েতেমালায় অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো হয় সামরিক বিমানে করে। সেখানে প্রতি অভিবাসী পিছু খরচ হয় ৪,৬৭৫ মার্কিন ডলার। যা কিনা আমেরিকান এয়ারলাইনসের প্রথম শ্রেণির টিকিটের চেয়ে ৫ গুণ বেশি। আমেরিকান এয়ারলাইনসে প্রথম শ্রেণির এক পাশের টিকিটের দাম পড়ে ৮৫৩ ডলার।
এর আগে বিশালকার বাণিজ্যিক চার্টার প্লেনে অভিবাসীদের ফেরত পাঠিয়েছে আমেরিকা। যে চার্টার প্লেনগুলি অন্য আর ৫টা অসামরিক বিমানের মত-ই দেখতে। কিন্তু দেখা গিয়েছে যে চার্টান প্লেনে করে অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো সেভাবে বিশ্ববাসীর নজর কাড়েনি। তাই নজর টানতেই অভিবাসীদের দেশে দেশে ফেরত পাঠাতে বিশালকার ও সামরিক C-17 বিমান ব্যবহারের সিদ্ধান্ত ট্রাম্পের।