শোনা গিয়েছে, সাকিব নাইট কর্তাদের প্রস্তাবে রাজি হয়ে গিয়েছেন। তিনিও কলকাতাকে অস্বস্তিতে ফেলতে চাইছেন না। তাঁর সঙ্গে দীর্ঘ দিনের সুসম্পর্ক থাকার কারণেই তিনি প্রস্তাবে রাজি হয়ে গিয়েছেন। একই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল লিটনকেও। তিনি অবশ্য রাজি হননি। কলকাতার হয়ে আইপিএল খেলতে তিনি উদগ্রীব। ফলে লিটনের বদলে আরও একটি বিদেশি ক্রিকেটার নেওয়ার সম্ভাবনা এখন কম।
শ্রীলঙ্কা জাতীয় দলের অধিনায়ক। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে গত কয়েক বছরে বারবার নিজের জাত চিনিয়েছেন এই অলরাউন্ডার। মিডল অর্ডারে হোক বা লোয়ার অর্ডারে ব্যাট হাতে ম্যাচের গতি প্রকৃতি বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন তিনি। গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে গত বছর শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক হিসেবে এশিয়া কাপে খেলেছেন।
সাকিব খেলতে পারবেন না। দলে একমাত্র পরীক্ষিত অলরাউন্ডার হলেন আন্দ্রে রাসেল। এছাড়া উমেশ যাদব ও টিম সাউদির মতো জোরে বোলারও দলের প্রয়োজনে ব্যাট করতে পারেন। সঙ্গে রয়েছেন শার্দুল ঠাকুরও। এমন অবস্থায় অ্যাডাম মিলনেও বিকল্প হতে পারেন। কারণ নিউ জিল্যান্ডের আর এক জোরে বোলার লকি ফার্গুসন এখনও হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট সারিয়ে উঠতে পারেননি।
গত বছর কেকেআর শিবিরে ছিলেন আফগানিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক। তবে একটি ম্যাচও খেলার সুযোগ পাননি মহম্মদ নবি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিজ্ঞতা রয়ছে এই অলরাউন্ডারের। বিশ্বজুড়ে একাধিক টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলেছেন তিনি। সাকিবের মতই মিডল অর্ডারে ব্যাট করতে পারেন ও স্পিন বোলিং করেন নবি। তাঁর অভিজ্ঞতাকে কি কাজে লাগাবে নাইট ম্যানেজমেন্ট?
ডানহাতি পেসার রয়েছেন কেকেআর শিবিরে। দক্ষিণ আফ্রিকার বাঁহাতি পেসার ওয়েন পার্নেল সীমিত ওভারের ফরম্যাটে ভালো ফর্মে আছেন। তবে ২০১৪ সালের পর থেকে আইপিএল-এ খেলেননি এই প্রোটিয়াস জোরে বোলার। এমন একজন অলরাউন্ডারের দিকে কি কেকেআর ঝুঁকবে?
নিউ জিল্য়ান্ডের উইকেট কিপার ব্য়াটার টম ল্যাথামের উপমহাদেশের মাটিতে দুর্দান্ত রেকর্ড রয়েছে। ভারতের মাটিতে ভারতের বিরুদ্ধে খেলে সাফল্য পেয়েছেন অনেক। টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে ল্যাথামের স্ট্রাইক রেট ১৩৩.৬৪। সাকিবের পরিবর্ত হিসেবে যদি ল্যাথামকে দলে নেয় নাইট শিবির, তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।