যত মেঘালয় হানিমুন রহস্য এগিয়েছে ততই নতুন নতুন বিষয় সামনে এসেছে। যেমন, জানা গিয়েছিল, সোনম রাজা রঘুবংশীকে তাঁদের প্রথম সহবাসের আগে কামাখ...
সত্যিই কি নবদম্পতির প্রথম সহবাসের সঙ্গে কামরুপ কামাখ্যায় দেবীদর্শনের কোনও যোগ আছে?
না, এরকম কিছু সত্যিই নেই। কেননা, পরে জানা গিয়েছিল, সোনম আসলে 'টাইম কিল' করছিল। ও রাজার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা চাইছিল না। রাজাকে যে কোনও প্রকারে দূরে সরিয়ে রাখছিল। আর তলায়-তলায় রাজাকে খুনের প্ল্যান করছিল।
কিন্তু, তাই যদি হবে, তাহলে রাজার মনে কেন কোনও সন্দেহ উঠল না? কামাখ্যায় দেবীদর্শন করে, তবেই তাঁরা প্রথম সঙ্গমে লিপ্ত হবেন-- এমনটা তাঁরও মনে মান্যতা পেয়ে গেল কেন?
আসলে তারও একটা কারণ আছে। কেননা, কামাখ্যাকে বলা হয় যোনিপীঠ। ভারতের অতি গুরুত্বপূর্ণ শাক্তমন্দির এটি। মনে করা হয়, ৫১ পীঠের ১ পীঠ এই কামাখ্যায় দেবীর গর্ভ ও যোনি পড়েছে!
কামাখ্যার সঙ্গে আসলে আরও নানা কারণে রহস্য জড়িয়েছে। সামনেই আসছে অম্বুবাচী। অম্বুবাচীর সময়ে এই মন্দিরে এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটে। দেবী ঋতুমতী হন এবং মন্দির থেকে বেরিয়ে আসে লাল তরল!
এই মন্দিরের গর্ভগৃহটি আসলে ভূগর্ভস্থ এক গুহা। এখানে কোনো মূর্তি নেই, শুধু পাথরের সরু গর্ত দেখা যায়। ভিতরে ঢালু পাথরের একটি খণ্ড আছে, যেটি যোনি আকৃতিবিশিষ্ট। এতে প্রায় দশ ইঞ্চি গভীর গর্ত দেখা যায়। একটি ভূগর্ভস্থ প্রস্রবণের জল বেরিয়ে গর্তটি সব সময় ভর্তি রাখে। শিলাখণ্ডটিই দেবী কামাখ্যা নামে পূজিত হন।
তন্ত্রসাধকদের কাছে এই মন্দির অন্যতম পবিত্র তীর্থক্ষেত্র। প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদ জেলার কামনগর-তিলিপাড়া গ্রামের কামাখ্যাতলা আশ্রম কামাখ্যা মায়ের সাধকদের সুপ্রাচীন আশ্রম এবং তন্ত্রবিদ্যার জন্য প্রসিদ্ধ।
এই কারণে দেবী কামাখ্যাকে 'রক্তক্ষরা দেবী' বা উর্বরতার দেবী বলা হয়। আর এই উর্বরতার ধারণার সঙ্গেই দম্পতির সঙ্গম-ধারণাটা মিলে গিয়েছে। কেননা, আজও ভারতীয় মানসিকতায় দম্পতির সঙ্গমকে সন্তানজন্মের কারণ বলেই ধরা হয়। এর উপর এখানে দেবীর গর্ভ ও যোনি পড়েছে। সেই বিষয়টাও হয়তো লেজিটিমেট সেক্সের আগে-পরে নবদম্পতির মাথার ভিতরে কোনও ভাবে কাজ করে। আর এক্ষেত্রেও রাজার মনের ভিতরে তেমনই কোনও ব্যাপার চলছিল। আর তার পুরো ফায়দা তুলেছে সোনম।
(Disclaimer: প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এই আলোচনা করা হচ্ছে, কোনও সুপারিশ করা হচ্ছে না।)