Krishna's Heart Beat in Puri Jagannath Temple: ওডিশায় পুরীর জগন্নাথমন্দির পবিত্র তীর্থস্থানের পাশাপাশি এক রহস্যময় স্থানও। আর্কিটেকচারাল বিউটির পাশাপাশি এর সঙ্গে জুড়ে আছে গভীর আধ্যাত্মিক রহস্যও। জগন্নাথের বহু রহস্যের একটি হল এর কৃষ্ণ-রহস্য।
রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন জগন্নাথের মন্দির গড়ে দেওয়ার স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন। মনে করা হয়, এই মন্দিরের ভিত মাটিতে নয়, ভক্তি ও বিশ্বাসের ভূমিতে প্রোথিত!
এই মন্দিরের অনেক রহস্য়ের একটি হল এর কৃষ্ণ-রহস্য। বলা হয়, এখানে রয়েছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের হৃদয়! এবং তা আজও স্পন্দিত হয়!
কিংবদন্তি বলছে, কৃষ্ণের দেহের মৃত্যুর পরে তাঁর হদয় কিন্তু অবিকৃত ছিল, তা পোড়েনি। সেটাই পুরীতে ভেসে আসে, এবং তা পুরীর মন্দিরে সংরক্ষিত। ভাবা যায়!
আর এই পুরাণই বিশ্ব জুড়ে ভক্তদের পুরীতে আকর্ষণ করে এসেছে যুগ যুগ ধরে। কৃষ্ণহৃদয় তাঁদের কাছে শাশ্বত ভক্তির প্রতীক।
জগন্নাথের মূর্তিকে দারু ব্রহ্ম বলে। শ্রীজগন্নাথ সুভদ্রা ও বলরাম-- এই তিন দেবতার মূর্তিই দারু অর্থাৎ, কাঠে তৈরি।
একটি নির্দিষ্ট সময়ের পরে পরে এই মূর্তি বদলানো হয়। একে বলে নবকলেবর। এর অর্থ, পুরনো দেবমূর্তি থেকে নতুন দেবমূর্তিতে ব্রহ্ম পদার্থ স্থানান্তরিত করা হয়।
ভক্তেরা যুগ যুগ ধরে ভেবে এসেছেন, এই তিন দেবতা জীবিত, নিছক মূর্তি নন। আর তাঁদের এই বিশ্বাসের জেরে এবং জোরেই পুরীর জগন্নাথক্ষেত্র একটি স্পিরিচুয়াল এপিসেন্টার হয়ে উঠেছে।