ঞ্জিকামতে জ্যৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে পালিত হয় জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা। জগন্নাথের ভক্তদের কাছে এটি বিশেষ মাহাত্ম্যপূর্ণ এক মহা উৎসব...
রথযাত্রার আগে গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান স্নানযাত্রা। এদিন থেকেই শুরু হয় রথযাত্রার কাউন্টডাউন।
১০৮ ঘড়া জলে স্নান করে গরমের পর শরীর শীতল করেন জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রা। আর তার পরেই প্রবল জ্বরে কাবু হন প্রভু জগন্নাথ।
পুরীতে স্নানযাত্রা উপলক্ষ্যে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে কলসি কলসি জল ঢেলে স্নান করানো হয়। জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রার দৃশ্য চাক্ষুস করতে এই সময় পুরীতে বহু মানুষ ভিড় করেন। বিশ্বাস অনুসারে জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা দর্শন করলে সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি মেলে।
স্নানযাত্রা উপলক্ষে এই সময়টায় অসংখ্য ভক্ত পুরী যান। যান জগন্নাথমন্দিরে জগন্নাথদর্শনে। বলা হয়, পুরীর মন্দিরে জগন্নাথদেবের বিগ্রহ প্রতিষ্ঠার পরই রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন প্রথমবার এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন।
স্নানযাত্রার আগের দিন জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে বিশাল এক শোভাযাত্রার মাধ্যমে মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে বের করে স্নানবেদীতে আনা হয়। তাঁদের সঙ্গে থাকে সুদর্শন চক্র।
বিশ্বাস, ঘড়া ঘড়া জলে স্নান করে অসুস্থ হয়ে পড়েন জগন্নাথদেব। চলে তাঁর চিকিৎসাও। আরোগ্য লাভ হলে, তবে দরজা খোলে তাঁর। তখন রথযাত্রা।
এ বছর জ্যৈষ্ঠ পূর্ণিমা তিথি পড়েছে ১০ এবং ১১ জুন৷ পঞ্জিকা বলছে, পূর্ণিমা তিথি শুরু হবে মঙ্গলবার ১০ জুন সকাল ১১.৩৫ মিনিট নাগাদ। পূর্ণিমা তিথি থাকবে পরদিন বুধবার ১১ জুন দুপুর ১.১৩ পর্যন্ত। তবে, সূর্যোদয়ের তিথি অনুযায়ী বুধবারই পালিত হবে জ্যৈষ্ঠ পূর্ণিমা তিথি, তথা স্নানযাত্রা।
(Disclaimer: প্রচলিত ধর্মীয় রীতি, শাস্ত্র বা তত্ত্বের ভিত্তিতে এই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এটি মানা বা না মানার সুপারিশ করা হচ্ছে না। বিশ্বাস ব্যক্তিগত বিষয়। সচেতন পাঠক যা করবেন স্বদায়িত্বে। আমাদের সম্পাদকীয় দফতরের কোনও দায়বদ্ধতা নেই।)