Jalpesh Temple | Maha Shivratri: মহা শিবরাত্রি উপলক্ষে পুজো দিতে প্রতিবছর উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা, পার্শ্ববর্তী রাজ্য আসাম এবং প্রতিবেশী দেশ নেপাল থেকেও দলে দলে পূর্ণার্থীরা জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি ব্লকে অবস্থিত জল্পেশ মন্দিরে আসেন।
প্রদ্যুৎ দাস: এবার মহাকুম্ভ যোগ। লক্ষাধিক ভক্ত ও পুণ্যার্থীর ভিড় হওয়ার আশা। ওই পুণ্যার্থীদের জন্য শিব চতুর্দশীর রাতে জল্পেশ মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে পুজোর সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এবারের জল্পেশ মেলা প্লাস্টিক ফ্রি মেলা হতে চলছে। জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায় কোন প্লাস্টিক জাতীয় নিষিদ্ধ ক্যারি ব্যাগ এ ধরনের কোন কিছু মেলায় ব্যবহার চলবে না। করাকরি জেলা পরিষদ। শৌচালয় থেকে পানীয় জল সমস্ত আয়োজনে জেলা প্রশাসন।
মন্দির কমিটির সম্পাদক গিরীন্দ্রনাথ দেব বলেন, মূল পুজো যাতে সবাই দেখতে পান সেজন্য মন্দিরের বাইরে একাধিক জায়ান্ট স্ক্রিন লাগানো হবে। গর্ভগৃহ থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে পুজো। সেইমতো সব ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পুলিশ সুপার উমেশ খান্ডবাহালে বলেন, জল্পেশে নিরাপত্তায় বিশেষ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পর্যাপ্ত সিসিটিভি রয়েছে মন্দির চত্বরে। বেশি ভিড় হলে ড্রোনে নজরদারি চালানো হবে। ওয়াচ টাওয়ার থেকে নজরদারি চালাবে পুলিশ।
এবার মহাকুম্ভ যোগে মহা শিব চতুর্দশী। ফলে উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় শৈবতীর্থ জল্পেশে ওইদিন তিলধারণের জায়গা থাকবে না বলে মনে করছে মন্দির কমিটি। সেকারণে নিরাপত্তার দিকেও বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে।
মন্দির কমিটি সূত্রে জানা যায় মন্দির চত্বরে ৫০টিরও বেশি সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। নজরদারিতে ওয়াচটাওয়ার থাকছে পুলিসের। তিনি বলেন, শিব চতুর্দশী থেকে দোল পর্যন্ত মেলা চলবে। তবে মেলার মাঠে যে মেলার আয়োজন করা হয় তা থাকবে ১০ দিন।
*এরই পাশাপাশি, ত্রিবেণী সঙ্গমের জল মেশানো হল জল্পেশ মন্দিরের পুকুর নন্দীকুন্ডে , শিবরাত্রি উপলক্ষে পুণ্যার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করল জল্পেশ মন্দির কর্তৃপক্ষ। উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী শৈব তীর্থ জল্পেশ মন্দির। মহা শিবরাত্রি উপলক্ষে পুজো দিতে প্রতিবছর উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা, পার্শ্ববর্তী রাজ্য আসাম এবং প্রতিবেশী দেশ নেপাল থেকেও দলে দলে পুণ্যার্থীদের জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি ব্লকে অবস্থিত জল্পেশ মন্দিরে আসেন। শিবরাত্রি উপলক্ষে ১০ দিন ধরে চলে মেলা। মহা কুম্ভের পুণ্য স্নান করতে ইতিমধ্যে বহু মানুষ ত্রিবেণী সঙ্গমে গিয়েছেন। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি মহা শিবরাত্রির বিশেষ তিথিতে বহু মানুষ মহাকুম্ভে পুণ্য স্নান করতে যাবেন। তবে এখনো পর্যন্ত অনেকের যাওয়া হয়ে ওঠেনি, যে সকল পুণ্যার্থীদের শিবরাত্রির বিশেষ তিথিতে মহাকুম্ভে শাহী স্নান করতে পারবেন না। তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করল জল্পেশ মন্দির কর্তৃপক্ষ। জল্পেশ মন্দিরের তরফে ত্রিবেণী সঙ্গমের জল এবং মাটি নিয়ে আসা হয়েছে। জল্পেশ মন্দিরের সেবায়েতদের মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে মন্দিরের পুকুর নন্দী কুন্ডে পবিত্র ত্রিবেণী সঙ্গমের জল অর্পণ করা হয়েছে। দূর দূরান্ত থেকে আসা পুণ্যার্থীরা যাতে মহা শিবরাত্রির দিন এই পবিত্র নন্দীকুন্ডে পুণ্য স্নান করে, ত্রিবেণী সঙ্গমের জল মিশ্রিত পবিত্র নন্দী কুন্ডের জল ঢেলে মন্দিরে পুজো দিতে পারেন সেই উদ্দেশ্যেই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে দাবি জল্পেশ মন্দির কর্তৃপক্ষের।*