জামাইষষ্ঠীর কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে। কথায় বলে বাঙালির ১২ মাসে ১৩ পার্বণ। এই ১৩ পার্বণের অন্য়তম পার্বণ হল জামাই ষষ্ঠী। মা ষষ্ঠী দেবীর আরাধনার পাশপাশি এই দিনে জামাই এর জন্য থাকে আদর আপ্য়ায়ান।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: জামাইষষ্ঠীর কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে। কথায় বলে বাঙালির ১২ মাসে ১৩ পার্বণ। এই ১৩ পার্বণের অন্য়তম পার্বণ হল জামাই ষষ্ঠী। মা ষষ্ঠী দেবীর আরাধনার পাশপাশি এই দিনে জামাই এর জন্য থাকে আদর আপ্য়ায়ান।
ফুলকো লুচি দিয়ে সকাল শুরু এবং দুপুরে তিন-চার রকম মাছ, পাঁঠার মাংস, কিছুই বাদ পড়ে না সেদিন। অনেক শাশুড়ির কাছে এ যেন বড়োই ঝক্কির ব্যাপার।
সেই ঝক্কি থেকে বেড়তেই রেস্তরাঁতেই রাখেন জামাইষষ্ঠীর ভূরিভোজের আয়োজন। জামাইএর মনের মতন খাবার দিয়েই হয় জামাইষষ্ঠীর উদযাপন।
অন্যবারের মতন এই বছর জামাইষষ্ঠীর স্পেশাল মেনু নিয়ে হাজির প্রিন্সটন ক্লাব। জামাইষষ্ঠীর স্পেশালে প্রিন্সটন ক্লাবে থাকছে বিভিন্ন সুস্বাদু মেনু,তার মধ্যে রয়েছে: গন্ধোরাজ ঘোল, পোস্তো দিয়ে ডাল এর বড়া, বাসন্তী পোলাও, আম আদা দিয়ে মুগের ডাল, ঝুর ঝুরে আলু ভাজা, দই পটল, ছানার ডালনা, কষা আলুর দম, রাজ বাহাদুর মটন কারি।
সাথে আলু দিয়ে মুর্গির ঝোল এবং মাছের মধ্যে থাকছে সুস্বাদু ডাব চিংড়ি, পাবদার তেল ঝাল, শেষপাতে থাকছে কাঁচা আমের চাটনি, আম দই, সীতা ভোগ এবং বাঙালি প্রিয় রসগোল্লা।
প্রত্যেকটি পদের দাম থাকছে সাধ্যের মধ্যেই/ ১০০ থেকে ৬৫০ টাকার মধ্যে। জামাইষষ্ঠীর উপলক্ষে এই বিশেষ মেনু পাওয়া যাবে দুপুর এবং রাত – দুই সময়েই।
এই প্রসঙ্গে প্রিন্সটন ক্লাবের অপারেশন ম্যানেজার সঞ্জয় কর্মকার বলেন, “জামাই ষষ্ঠী বাঙালিদের জন্য একটি উৎসব যা সর্বত্রই পালিত হয়। বর্তমানে শাশুড়িরা প্রায়শই সময়ের অভাবে তাদের জামাইদের জন্য আয়োজন করতে পারেন না, ক্লাব বা রেস্তোরাঁয় তাদের জামাইয়ের জন্য খাবারের আয়োজন করতে পছন্দ করেন।
আমাদের মূল্যবান সদস্যরা এবং তাদের অতিথিরা এখানে তাদের মেয়ে এবং জামাইদের নিয়ে এই জামাইষষ্ঠী পালন করতে পারেন। আমরা আশা করি আমাদের আয়োজন উৎসবের মেজাজকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।”