Kangana Ranaut: ইলেকট্রিসিটি বোর্ডের সভাপতির মন্তব্য, "জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে বিল পরিশোধ না করায় ৯০ হাজার টাকার বিল পাঠানো হয়েছে ম্যাডামকে। দু’মাসের বিল বাবদ হয়েছিল ৯০ হাজার টাকা"। কঙ্গনাকে মিথ্যেবাদী বলে দাবি করেন ইলেকট্রিসিটি বোর্ডের সভাপতি।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সম্প্রতি ফাঁকা বাড়ির ১ লক্ষ ইলেকট্রিক বিল নিয়ে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মান্ডির সাংসদ কঙ্গনা রানাওয়াত।
হিমাচলের কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে তিনি অভিযোগ করেন, ‘বাড়িতে না থাকা সত্ত্বেও ১ লক্ষ টাকা বিল এসেছে।’
এবার হিমাচল প্রদেশের ইলেকট্রিসিটি বোর্ড পালটা বিবৃতি প্রকাশ করে বিঁধলেন কঙ্গনা রানাউতকে ।
কঙ্গনা সেদিন অভিযোগ করেছিলেন, “এই মাসে আমার মানালির বাড়িতে ১ লক্ষ টাকা ইলেকট্রিক বিল এসেছে। যেখানে আমি থাকিও না। কতটা দুর্দশা দেখুন।”
ইলেকট্রিসিটি বোর্ডের বিবৃতিতে কঙ্গনার বাড়ির গত তিন মাসের বিদ্যুতের বিলের রশিদ প্রকাশ্যে নিয়ে আসা হয়েছে। সাংসদের বিরুদ্ধে বকেয়া বিল না মেটানোর অভিযোগ তুলেছে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের ইলেকট্রিসিটি বোর্ড।
ইলেকট্রিসিটি বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, কঙ্গনা রানাউতের তরফে ১ লাখি বিলের যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা পুরোপুরি মিথ্যে।
ইলেকট্রিসিটি বোর্ডের সভাপতির মন্তব্য, "জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে বিল পরিশোধ না করায় ৯০ হাজার টাকার বিল পাঠানো হয়েছে ম্যাডামকে। দু’মাসের বিল বাবদ হয়েছিল ৯০ হাজার টাকা"।
সভাপতির দাবি,"নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেই বিল দিতে না পারায় ফাইন হিসেবে অতিরিক্ত ৩২,২৮৭ হাজার টাকা যুক্ত হয় তার সঙ্গে। দু’ মাসের বকেয়া টাকা-সহ অতিরিক্ত ফাইনের পুরো অঙ্ক যোগ করলে সেটা ৯১ হাজারের খানিক বেশি দাঁড়ায়। মোটেই ১ লক্ষ টাকা হয় না"।
তিনি আরও বলেন, "কঙ্গনা যদি সময়মতো বিদ্যুতের বিল মিটিয়ে দিতেন, তাহলে তাঁর কাছে ৫৫,০০০ টাকার বিলই যেত।”
অভিনেত্রী দাবি করেন যে তিনি সেই বাড়িতে থাকেন না, তবে হিমাচল প্রদেশের ইলেকট্রিসিটি বোর্ডের দাবি, “৯৪.৮২ কিলোওয়াটের বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় ওই বাড়িতে, যা সাধারণ গৃহস্থালি কানেকশনের তুলনায় প্রায় ১,৫০০ শতাংশ বেশি।”