Kasba Law College Gang Rape: একদিকে কলেজ কর্তৃপক্ষের নোটিস, ওদিকে মনোজিতের নামে ১১ FIR। যারমধ্যে ৪টি শ্লীলতাহানির অভিযোগও।
রণয় তেওয়ারি: যে মনোজিৎ, যে 'ম্যাংগো'র দাদাগিরি নিয়ে ভূরি ভূরি অভিযোগ-বিতর্ক, 'অসুবিধা হলে' সেই মনোজিতের সঙ্গেই 'যোগাযোগ' করার নির্দেশ! "কারোর কোনও অসুবিধা হলে মনোজিৎ মিশ্রর সঙ্গে যোগাযোগ করে নিন..." একথা বলছেন খোদ সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল।
আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন। যেখানে কলেজের ছাত্রছাত্রীরা বারংবার এই মনোজিৎ মিশ্রর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে এসেছেন, সেখানে কি করে খোদ ভাইস প্রিন্সিপাল এই কথা বলতে পারেন? ২০২৪ সালের ১৩ আগস্ট কলেজ কর্তৃপক্ষর তরফে একটি নোটিস দেওয়া হয়।
নোটিসে বলা হয়, সমস্ত সেমিস্টারের জন্য, কলেজ সংক্রান্ত কোনও সমস্যা হলে, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মনোজিৎ মিশ্রর সঙ্গে যোগাযোগ করতে। রীতিমতো কলেজের প্যাডে স্ট্যাম্প মেরে, সেই কথা নোটিস দিয়ে জানানো হয় সকল ছাত্রছাত্রীর উদ্দেশ্যে।
একদিকে ভাইস প্রিন্সিপাল নয়না চ্যাটার্জি ২০২২ সালে পুলিসের কাছে অভিযোগ করেন মনোজিৎ মিশ্রর বিরুদ্ধে। আবার সেই ভাইস প্রিন্সিপালই ২০২৪ সালের ১৩ অগাস্ট কলেজের ওয়েবসাইটে ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে নোটিস দেন, কোনও অসুবিধা হলে মনোজিৎ মিশ্রর সঙ্গে যোগাযোগ করতে!
সেই সময় মনোজিৎ মিশ্রের বিরুদ্ধে ১১টি FIR ছিল। যার মধ্যে ৪টি ছিল শ্লীলতাহানির অভিযোগ। এদিকে এই ভাইস প্রিন্সিপালের কাছেই সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের এক ছাত্রীর অভিযোগ করেন, "আমরা মেয়েরা নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছি, মনোজিৎ মিশ্রর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিন।"
২০২২ সালের মার্চ মাসে, সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপালের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন কলেজেরই এক আইনের ছাত্রী। সেখানেও বিস্ফোরক অভিযোগ সেই মনোজিৎ মিশ্রর বিরুদ্ধে। অভিযোগে ওই ছাত্রী জানান, মেয়েদের উপর হামলার কথা। এমনকি কলেজ প্রাঙ্গণে মদ্যপান করার কথাও।
ওই ছাত্রী অভিযোগে আরও লেখেন, "কলেজের গভর্নিং বডি মনোজিৎকে কলেজের যে কোনও প্রোগ্রামে অংশ নিতে বারণ করেছে। তা সত্ত্বেও সে কলেজ চত্বর দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। মনোজিৎ মিশ্র এমন অনেক কাজ করেছেন যা আমাদের সমাজকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে।"
ওই ছাত্রী অভিযোগে এটাও লিখেছিলেন, "সকল মেয়েদের পক্ষ থেকে, আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ করছি যে তাকে কলেজে আসা বা যে কোনও অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া থেকে বিরত রাখুন। কারণ আমরা মেয়েরা মনোজিৎ মিশ্রের উপস্থিতিতে নিরাপদ বোধ করি না।"