Kasba Law College Gang Rape Case: মারধর, যন্ত্রণার ভিডিয়ো দেখতে এবং দেখাতে ভালোবাসত মনোজিৎ মিশ্র। ক্লোজড সার্কলে আপত্তিকর ছবি-ভিডিয়ো শেয়ার করে মজা নিত।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কসবা ল' কলেজে গণধর্ষণকাণ্ডের তদন্তে সময় যত গড়াচ্ছে, তত একদিকে যেমন উঠে আসছে অপরাধের সঙ্গে সম্পর্কিত একের পর এক তথ্য। তেমনই সামনে আসছে মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রের বিকৃত মানসিকতার একের পর এক উদাহরণ।
বিকৃত কাম ছিল মনোজিতের। যার দাবি করেছে তার ঘনিষ্ঠ মহল থেকে বন্ধুবান্ধব ও কলেজের জুনিয়ররা। তারা বলছেন, মনোজিতের বিকৃত কামের তৃষ্ণা মেটাতে অনেকেই বাধ্য হতো তাদের সহপাঠী ছাত্রীদের শরীরের বিভিন্ন অংশের আপত্তিকর ছবি তুলে সেসব মনোজিৎকে দেখাতে।
এমনকি মনোজিৎ নিজেও মহিলাদের নানা অঙ্গের ছবি তুলে মোবাইলে রাখত! ক্লোজড সার্কলে সেইসব আপত্তিকর ছবি-ভিডিয়ো শেয়ার করে মজা নিত। শুধু তাই নয়, লোকজনকে মারধর করে সেই ভিডিয়োও মোবাইল জমিয়ে রাখত মনোজিৎ।
সূত্রের খবর, এই ঘটনা প্রথম নয়। মনোজিৎ এর আগেও বহু ছাত্রীকে হেনস্থা করেছে। সেই হেনস্থার ভিডিয়োও সে নিজের মোবাইলে তুলে রেখে পরবর্তীতে নিজেও দেখত ও শাগররেদদেরও দেখাত।
কলেজ ক্যাম্পাসে কোনও নতুন ছাত্রীকে পছন্দ হলেই সে গিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দিত বলে অভিযোগ। বলত, ‘তুই আমাকে বিয়ে করবি?’ ঠিক যেভাবে নির্যাতিতাকেও বিয়ের প্রস্তাব দেয় মনোজিৎ। আর সে রাজি না হতেই শুরু হয় অকথ্য অত্যাচার।
জানা যাচ্ছে, বিভিন্ন সময়ে অনেকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছে মনোজিৎ। তাঁর সেই বিকৃত কামের হাত থেকে রেহাই পাননি তাঁরাও। অভিযোগ, নিজেদের সঙ্গমের মুহূর্তের ভিডিয়ো তুলে রাখত মনোজিৎ। ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের সেই ছবি-ভিডিয়ো অন্যদের দেখিয়ে 'কৃতিত্ব' নিত মনোজিৎ। হিসেব রাখত কতজনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়েছে সে!
শুধু তাই নয়, জানা গিয়েছে, কলেজ ট্রিপে গিয়েও মনোজিতের 'শিকারি' চোখ তার 'শিকার' খুঁজে বেড়াত। যে কারণে লুকিয়ে থাকতেও বাধ্য হন এক ছাত্রী। তাঁর কথায়, ৫ ঘণ্টা ধরে মনোজিৎ আমাকে খুঁজে বেড়ায়।
কলেজ পড়ুয়া এক ছাত্রের কথায়, মারধর, যন্ত্রণার ভিডিয়ো দেখতে এবং দেখাতে ভালোবাসত মনোজিৎ মিশ্র। পছন্দ ছিল 'নোংরা যৌনতা'। শুধু তাই নয়, ২০১৩ সালে মনোজিৎ মিশ্র এক ক্যাটারিং কর্মীকে ছুরি দিয়ে মেরে তাঁর আঙুল কেটে ফেলেন বলেও অভিযোগ। এরপর ৩ বছর ধরে নিখোঁজ ছিল সে।