Kasba Law College Gang Rape Case: লিখিত অভিযোগে নির্যাতিতা ছাত্রী জানিয়েছিলেন যে ভিডিয়ো তুলে তাঁকে ব্ল্যাকমেল করা হয়। এবার জানা গেল...
বিক্রম দাস: কসবা গণধর্ষণকাণ্ডে বড় আপডেট। মূল অভিযুক্ত মনোজিতের ফোনে আগেই মিলেছে নির্যাতিতার বিবস্ত্র ভিডিয়ো! দেড় মিনিটের সেই ক্লিপ ভয়ংকর।
এবার সেই ভিডিয়ো নিয়েই সামনে বিস্ফোরক তথ্য। জানা গিয়েছে, মনোজিৎ যখন ওই তরুণীকে ধর্ষণ করছিল, অপরাধ যখন সংঘটিত হচ্ছিল, তখন সেই ভিডিয়ো তুলছিল ২ জন। প্রমিত ও জায়েব।
জায়েবের মোবাইল থেকে ঘটনার পর সেই ভিডিয়ো পাঠানো হয় মনোজিতের মোবাইলে। প্রমিত ও জায়েব, দুজনের ভিডিয়ো ফুটেজ দেখিয়েই নির্যাতিতা তরুণীকে ব্ল্যাকমেইল করার প্রমাণ মিলেছে বলে খবর পুলিস সূত্রে।
প্রসঙ্গত, লিখিত অভিযোগে নির্যাতিতা ছাত্রী জানিয়েছিলেন যে ভিডিয়ো তুলে তাঁকে ব্ল্যাকমেল করা হয়। পুলিসের হাতে নির্যাতনের সময়ের সেই ভিডিয়ো যেমন এসেছে। তেমনই কে বা কারা ওই ভিডিয়ো তুলছিল, তার প্রমাণও মেলে।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্ত মনোজিতের বিৃকত কামের ভূরি ভূরি উদাহরণ সামনে এসেছে। মনোজিতের বিকৃত কামের তৃষ্ণা মেটাতে অনেকেই সহপাঠী ছাত্রীদের শরীরের বিভিন্ন অংশের আপত্তিকর ছবি তুলে সেসব মনোজিৎকে দেখাতে বাধ্য হত।
এমনকি মনোজিৎ নিজেও মহিলাদের নানা অঙ্গের ছবি তুলে মোবাইলে রাখত! ক্লোজড সার্কলে সেইসব আপত্তিকর ছবি-ভিডিয়ো শেয়ার করে মজা নিত।
বিভিন্ন সময়ে অনেকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছে মনোজিৎ। নিজেদের সঙ্গমের মুহূর্তের ভিডিয়ো তুলে রাখত মনোজিৎ। ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের সেই ছবি-ভিডিয়ো অন্যদের দেখিয়ে 'কৃতিত্ব' নিত মনোজিৎ।
পাশাপাশি, কসবা কাণ্ডে সন্দেহভাজন ১৭ জন পড়ুয়ার গতিবিধি। যার মধ্যে ৬ জনকে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিট। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে ভাইস প্রিন্সিপ্যালকেও। গতকাল ২ বার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। আজও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।